বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতেই বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূতরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতেই পশ্চিমাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল বঙ্গভবনে সরকারের শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতসহ প্রায় সমস্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা ছিলো।
‘অর্থাৎ বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে তারা সবাই গিয়েছিলো,’ বলেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ এতোদিন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। নবগঠিত সরকারের তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি আছে, অন্য কিছুতে তা নাই। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিলো। আমি আপনাদের সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি।
‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এবং এখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আস্থা রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবো। পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথেই আমাদের সম্পর্কের আরো উন্নতি ঘটাবো।
‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ’সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’, সেই নীতি নিয়েই আমরা সবার সাথে আরো ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তুলবো,’ বলেন তিনি।
গত জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চারবারের এবং মোট পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ফোন করে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া জাপান, কানাডা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার টানা বিজয়ের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ৭৫দিন পর বিএনপি অফিসের তালা ভেঙে নেতাকর্মীদের প্রবেশের ঘটনাকে নাটক হিসেবে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তালা ভেঙে তাদের অফিসে ঢুকছে। তালাটা কিন্তু তারাই লাগিয়েছিলো। তারাই লাগিয়ে আবার তারাই ভাঙছে।
‘অর্থাৎ একটা নাটক দেখাচ্ছে। এভাবে নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে,’ বলেন তিনি।
এমএন
