নারী পাচারে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার


দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘ ৪ দশক ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নারী পাচার হচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদল হলেও সীমান্ত এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তিকে এ কাজ থেকে কেউ বিরত রাখতে পারেনি। বরং সময়ে সময়ে যোগ হয়েছে নতুন নাম।
সম্প্রতি ভারতে নারী পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের তথ্য এসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। দেখা গেছে, ওই চক্রে রয়েছে যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা ও নড়াইল- চার জেলার বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার)। এসব জেলা দিয়ে পার করা নারীদের এরা ভারতের কলকাতা, কেরালা, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে পাঠাত।
ভারতে এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নারী পাচারের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি মামলায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নজরদারিতে রয়েছে চক্রের আরও অন্তত অর্ধশত সদস্য। এরমধ্যে অর্ধডজনকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। আর ভারতে গ্রেফতার হয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই বাংলাদেশি। এ ১২ জনের মধ্যে ১০ জনই ভারতের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাংলাদেশে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আসামিদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মানব পাচারের ভয়াবহ চিত্র। ভারতে অবস্থানরত সবুজ এক চক্রের হোতা। তার হয়ে দেশে সমন্বয়কের কাজ করত টিকটক হৃদয় বাবু ও পঞ্চম শ্রেণি পাশ নদী আক্তার। আর সাতক্ষীরা সীমান্তের ধাবকপাড়ার কালিয়ানির স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন তাদের এ কাজে সহযোগিতা করত। এক আসামির বক্তব্য হলো- ‘তাদেরকে মন্ত্রী বানানোর কথা বললেও তারা হবে না। তারা ওখানকার চেয়ারম্যান বা মেম্বারই থাকবে। ওখানের মতো এত টাকা কোথাও উড়ে না।’
এমবি
