এস আলম সুগার মিলে আগুন এখনো জ্বলছে, সাংবাদিক প্রবেশে বাধা


প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন নেভেনি চট্টগ্রামে এস আলমের চিনি কলের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এদিনে আগুনের কারণে তৈরি হওয়া বর্জ্য সরাসরি গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলীতে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা নির্বাপন করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন নির্বাপনে এখনও ১০টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অপরিশোধিত চিনি আগুনে পুড়ে এখন লাভার রূপ নিয়েছে। তারপরও গলিত পুড়ে যাওয়া চিনির অবশেষ যাতে পাশের চিনির গুদামে ছড়িয়ে যেতে না পারে তারজন্য পানির পাশাপাশি বালিও ব্যবহার করছে অগ্নিনির্বাপণে যুক্ত কর্মীরা। পুড়ে যাওয়া গুদামের পাশেও এস আলমের আরো চার-পাঁচটি গুদাম রয়েছে।
এদিকে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে সংবাদকর্মীদের খবর সংগ্রহে মিলে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাস্থলে থাকা একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক বলেন, ‘সংবাদকর্মীদের কারণে আগুন নির্বাপণে সমস্যা হচ্ছে এমন অজুহাতে সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। মিলের মূল ফটকটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই থেকে তিনদিন সময় লেগে যেতে পারে।’
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনটি প্রায় পাঁচ তলার সমান উচ্চতার। এটির পুরোটাজুড়েই চিনির কাঁচামাল মজুত আছে। শুধু নিচ থেকে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে ওপর থেকে পানি ছেটানোর বিকল্প নেই, কিন্তু সরঞ্জামের অভাবে আমরা করতে পারছি না। তাই গোডাউনের পুরো কাঁচামাল পুরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আগুন নেভার সম্ভাবনা নেই।’
সোমবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে ফায়ার ব্রিগেড ছাড়াও নৌ-সেনা-বিমান বাহিনীর সদস্যরা অগ্নিনির্বাপনে অংশ নেন। রাতভর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনো নির্বাপন হয়নি আগুন। গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল জানিয়েছেন মিল কর্মকর্তারা।
এমএন
