মশা মারার ওষুধ চুরি: চাকরি গেলো চার কর্মীর


মশক নিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যবহৃত এডাল্টিসাইড সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে পৌঁছে না দিয়ে তা চুরি করে দোকানে বিক্রি করার দায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) চার মশক কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চুরি করা কীটনাশক ক্রয় করার অপরাধে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার ( ২১ জুন) সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে কর্মচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুত চারজন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর ৫০ নং ওয়ার্ডের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক মশক কর্মী উজ্জল সিদ্দিকী, সুজন মিয়া, মোঃ হাফিজুল ইসলাম ও জুয়েল মিয়া।
জানা যায়, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে গত ৯ তারিখে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হতে সাপ্তাহিক মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য ৭, ৪৫, ৪৬, ৫০, ৫২ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের মশক সুপারভাইজার/তার প্রতিনিধির নিকট ৬ ড্রাম কীটনাশক সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি ড্রামের ধারণক্ষমতা ২০০ লিটার। নিয়মানুযায়ী সেসব কীটনাশক কাউন্সিলর দপ্তরে পৌঁছানোর কথা।
কিন্তু এডাল্টিসাইড সরবরাহের পর কাউন্সিলর কার্যালয়ে পৌঁছে না দিয়ে ৪৬, দক্ষিণ সায়েদাবাদের ‘মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সি’ নামীয় খুচরা জ্বালানী তেল বিক্রেতার দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে করপোরেশনের মশক সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সিতে উপস্থিত হয়।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, অঞ্চলের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সায়েদাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় সেই দোকানের গোডাউন হতে ২০০ লিটারের দুটি ড্রাম, ৩০ লিটারের ৮টি ও ২০ লিটারের ১টি গ্যালনসহ সর্বমোট ৬৬০ লিটার কীটনাশক জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত দোকান ও দোকানের গোডাউন সিলগালা করেন এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে করপোরেশনের মশক সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চুরি করা অবৈধ কীটনাশক ক্রয় করা দোকান মালিক আব্দুল মজিদ সিকদারের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
এমবি
