করোনা: বরিশালে ৮ দিনে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৮৬


বরিশালে গত ৮ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ৬ জনের মধ্যে ৩ জনই বরিশাল জেলার বাসিন্দা। এছাড়া দুজন ঝালকাঠির এবং অপরজন বরগুনার। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এই ৮ দিনে বেড়েছে শনাক্তের হারও। পাশাপাশি কমেছে সুস্থতার সংখ্যা। গত ৮ দিনের তথ্য বিশ্লেষণে এমন চিত্র উঠে এসেছে। আর এই চিত্রকে ভয়াবহতার সাথে তুলনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যানুযায়ী বরিশালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৬৮। গত বছরের ১১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২২ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন বরিশাল জেলায়।
সেহিসেবে আক্রান্তের সংখ্যাগত দিক দিয়ে সবার উপরে রয়েছে এই জেলা। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭৫ জন। আর তালিকার সবার নীচে রয়েছে বরগুনা। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৪।
এছাড়া পটুয়াখালীতে ২ হাজার ৩৯৩ জন, ভোলায় ২ হাজার ১ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ৮৯০ এবং ঝালকাঠিতে ১ হাজার ৪৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বরিশালে। গত ৮ দিনের হিসেব অনুযায়ী ১৫ জুন করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৮ জনের। ১৬ জুন শনাক্তের সংখ্যা ৪৭। ১৭ জুন শনাক্ত হন ৫০ জন, ১৮ জুন ৪৮, ১৯ জুন ৫৬, ২০ জুন ৬৯, ২১ জুন সর্বোচ্চ ১১৭ এবং ২২ জুন ৭১ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। যার গড় হার ৬০%।
অপরদিকে গত ৮ দিনে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। এরমধ্যে ১৭ জুন ২ জন, ১৮ জুন ১ জন, ২১ জুন ২ এবং ২২ জুন আরও ১ জন মৃত্যুবরণ করেন। যার গড় হার ০ দশমিক ৭৫। যেটিকে যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমান জানান, বরিশালে করোনা শনাক্তের হারবৃদ্ধি শঙ্কার বিষয়। প্রায় প্রতিদিনই আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি করোনা মোকাবেলায় সরকার যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। টিকা প্রয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে খুবই আন্তরিক সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যবিভাগ। কিন্তু এতকিছুর পরও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ জনগণের অসচেতনতা বলে মনে করেন তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনা মোকাবেলায় তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
ইতিমধ্যে টিকার ১ম ডোজ দেয়া শেষ হয়েছে। ২য় ডোজ প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।
বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ১৭৪ জন কে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে ২ হাজার ৫১১ জনকে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানান, বরিশালে সর্বমোট ১৪ হাজার ৫৮৮ জন করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন।
প্রসংগত, বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
##এম বাপ্পি
এমবি
