সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত গ্রেপ্তার


সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ডিবি।
গত জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যে কয়জনকে দায়িত্ব দিয়েছিল তাদের মধ্যে আরাফাত ছিলেন অন্যতম।
আরাফাত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের একজন থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন।
আরাফাতের পিতা মোহাম্মদ সেতাব উদ্দিন বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক ছিলেন। তিনি শহীদুল্লাহ কায়সার এবং পান্না কায়সারের মেয়ে শমী কায়সারকে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই বিয়ে করেন। ২০১৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর বিয়ে করেন শারমিন মুস্তারিকে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট ও নীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অনেক নিবন্ধ লিখেছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র গণ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীরা আত্মগোপনে রয়েছে। অনেকে দেশত্যাগও করেছেন। গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভা সদস্যদের নামে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুও গ্রেপ্তার হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের গ্রেপ্তার মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক এবং সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খানসহ অনেকে।
এইচকেআর
