বন্যার আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী


পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। নদী ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝুঁকি নিয়ে সারা দেশে কাজ করে চলেছেন। বন্যার আগাম প্রস্ততি নেওয়া আছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে নদী ভাঙনরোধে চলমান কাজের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। করোনার মধ্যেও প্রকৌশলীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন জেলায় দিনরাত কাজ করছেন। কোথায়ও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে যে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা আছে সেখানকার প্রশাসনকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যৌথভাবে কাজ করবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
এনামুল হক শামীম বলেন, করোনার মহামারি থেকে আমাদের যেমন রক্ষা করতে হবে। তেমনি নদী ভাঙন থেকেও মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এ জন্য আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, গত বছর পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের ৪০টি প্রকল্প সমাপ্তির নির্ধারিত ছিল। এরম ধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ এর মধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। কাজের সমাপ্তির হার ৯২.৫ শতাংশ। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে দেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর। যা ২৫ বছর আগে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর। আর নদী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ড্রেজিং, নদীর পাড় উঁচুকরণ, প্রশস্তকরণ এবং নদীর পাড়ে বনায়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এমবি
