সাকিবও আউট, সৌম্যের ফিফটি


ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের মতো ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করে ফেরেন এ অলরাউন্ডার। তার বিদায়ে ৭.৪ ওভারে ৭০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ে ১২০ বলে করতে হবে ১৯৪ রান। এমন চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
ব্লেসিং মুজারাবানির করা প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন নাঈম। ২.২ ওভারে দলীয় ২০ রানে ৭ বলে ৩ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।
তিন ম্যাচ সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে জিম্বাবুয়ে।
রোববার জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও মারুমানি।
ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৬ ওভারে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২০ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি।
ব্যাটিং তাণ্ডব চালানো রেগিস চাকাভাকে সাজঘরে ফেরালেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে ৬টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন চাকাভা।
দুরন্ত শুরুর পর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্যর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তাকে রানের খাতা খোলার সুযোগ দেননি সৌম্য।
ইনিংসের শুরু থেকে অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরে।জিম্বাবুয়ের এ তারকা ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাধেভেরে।
এরপর ডিয়ন মাইয়ার্সের ২৩ আর রায়ান বুলের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌম্য। একটি করে উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন, সাকিব ও শরিফুল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মধ্যে একটি করে জিতেছে উভয় দল। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে। এই ম্যাচে যারাই জিতবে সিরিজ নিশ্চিত তাদেরই হবে।ব্রাজিল-আইভরিকোস্ট ম্যাচ ড্র
টোকিও অলিম্পিকের ফুটবলে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে হোঁচট খেয়েছে ব্রাজিল। গ্রুপ ‘ডি’-তে আইভরকোস্টের সঙ্গে গোল শূন্য ড্র’তে শেষ হয়েছে ম্যাচ।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী জার্মানিকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল ব্রাজিল। রিচার্লিসন হ্যাটট্রিক করেছিলেন জার্মানদের বিপক্ষে। আজ গোলের দেখাই পাননি তিনি। গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের বাকি ফরোয়ার্ডরাও।
বলতে গেলে তেমন জোরালো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিল। শেষ মুহূর্তে আইভরিকোষ্ট গোলের দারুণ সুযোগ পেলেও অফ-সাইডের বাঁশি হতাশ করে।
শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য ড্র মেনে নিতে হয়েছে দুই দলকে। এই ম্যাচ ড্র হলেও দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষ দুটি স্থান ব্রাজিল ও আইভরি কোস্টের দখলে রয়েছে।
ম্যাচের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে শুরুর ১৩ মিনিটেই। ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ডগলাস লুইজ মাঠ ছাড়েন সরাসরি লাল কার্ড দেখে। গোল না করতে পারলেও দু'দল লাল কার্ডের ক্ষেত্রে সমতায় থাকে। ৭৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আইভরি কোস্টের এবু কোয়াসি।
এমবি
