করোনা: রাজশাহী মেডিকেল কলেজে আরও ২১ জনের মৃত্যু


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু আবার বেড়েছে। রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ১০ জন এবং উপসর্গে ১১ জন মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের রাজশাহীর ৭ (পজিটিভ ৩, উপসর্গে ৪) জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ (উপসর্গ) জন, নাটোরের ৩ (পজিটিভ ২, উপসর্গ ১) জন, নওগাঁয় ৪ (পজিটিভ ২, উপসর্গ ২) জন, পাবনায় ৫ (পজিটিভ ২, উপসর্গ ৩) জন ও ঝিনাইদহে ১ (পজিটিভ) জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। তাদের ১১ জনের বয়স ৬১ এর ঊর্ধ্বে, ৩ জনের বয়স ৫১ এর ঊর্ধ্বে, ৩ জনের বয়স ৪১ ঊর্ধ্বে, ৪ জনের বয়স ৩১ ঊর্ধ্বে।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালের ৫১৩টি করোনা ডেডিকেটেড বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৩৯৯ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ২০১, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৪, নাটোরের ৬৬, নওগাঁর ৪২, পাবনার ৩৯, কুষ্টিয়ার ১২, সিরাজগঞ্জের ২, মেহেরপুর ১, বগুড়ার ১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। এদের মধ্যে রাজশাহীর ২৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩, নাটোরের ১১, নওগাঁর ৬, পাবনার ৮ জন, কুষ্টিয়ার ২, চুয়াডাঙ্গার ১ ও বগুড়ার ১ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪০ জন।
পরিচালক জানান, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৩৯৯ জনের মধ্যে ১৭৮ জনের করোনা পজিটিভ রয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৭ জন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে করোনামুক্ত হওয়ার পর ফুসফুসে ইনফেকশনসহ পরবর্তী শারীরিক জটিলতার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৪ জন।
তিনি আরও জানান,সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি ল্যাব এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে রাজশাহী ও নাটোর জেলার ৬৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১৯৮ জনের। রামেক ভাইরোলজি ল্যাবে রাজশাহীর ১৭৩ নমুনায় ২৫ জনের ও নাটোরের ২৭৪ নমুনায় ১০৫ জনের পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে রামেক হাসপাতালের মলিকুলার ল্যাবে ২৪০ নমুনায় ৬৮ জনের পজিটিভ এসেছে। রাজশাহীতে সংক্রমণের হার ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নাটোরে সংক্রমণের হার ৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এমইউআর
