টানা বর্ষণ: দক্ষিণ উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত


দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উত্তাল বঙ্গোপসাগরে টিকতে না পেরে দুই শতাধিক ফিশিংবোট সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে, টানা তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে পিরোজপুর ও বাগেরহাটের শরণখোলাসহ দক্ষিণ উপকূলের গ্রামাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারে সময় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র মুঠোফোনে জানান, অবিরাম বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় সাগরে প্রবল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে অনেক ফিশিংবোট দুবলারচরের মেহেরআলী, ভেদাখালী, আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়ীয়া, কচিখালীসহ বনের বিভিন্ন স্থানে খালে আশ্রয় নিয়েছে। পিরোজপুরের পাড়েরহাট মত্স্য বন্দরের ফিশিংবোট মালিক বিমল দাস ও শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে তাদের ফিশিংবোটবহর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়েছে। দুই শতাধিক ফিশিংবোট মাছ ধরতে না পেরে মহিপুর, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে জেলে ও ফিশিংবোট মালিকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আবুল হোসেন জানান।
অপরদিকে টানা তিন দিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, ভাণ্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া ও বাগেরহাটের শরণখোলাসহ দক্ষিণ উপকূলের গ্রামাঞ্চলের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর ও মত্স্য খামারের মাছ। ডুবে গেছে ফসলের মাঠ ও বীজতলা। ভারি বর্ষণের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। লকডাউনের এ সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নিত্য খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ অবর্ণনীয় অবস্থায় পৌঁছেছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাতুনে জান্নাত বৃষ্টিতে প্লাবিত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কিছু পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দেন।
এমইউআর
