ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

হা‌টে বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৮ লাখ টাকার ঘর!

হা‌টে বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৮ লাখ টাকার ঘর!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কাঠ ও টিন দিয়ে তৈরি ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে। আবহাওয়ার সঙ্গে ঘর দ্রুত ঠান্ডা ও গরম হয়। এসব ঘরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে বিক্রিও করা যায়। ফলে এসব ঘরের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। 

মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অনেক দিন ধরে তৈরি করা হয় বিভিন্ন ডিজাইনের কাঠ ও টিনের ঘর। কাঠ ও টিনের তৈরি এসব নান্দনিক ঘর বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ঘর বিক্রির হাটও। মুন্সিগঞ্জের লোকজনের পাশাপাশি কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে ক্রেতারা এসব ঘর কিনতে আসেন। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক সময় বার্মার লোহাকাঠ, শালকাঠ  ও টিন দিয়ে এই ঘর নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে নাইজেরিয়ান লোহাকাঠ, সেগুন কাঠ ও টিন দিয়ে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। লোহাকাঠ দিয়ে নির্মিত ঘরগুলো সাধারণত ৬০ বছর থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। একেকটি টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মিত ঘর ১ থেকে ৩ তলা পর্যন্ত হয়ে থাকে। হাটে ২-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের ঘর বিক্রি হয়। তবে অনেকেই বাড়িতে কাঠমিস্ত্রি এনে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়েও ২-৩ তলা প্রাসাদের মতো টিন ও কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করেন। নান্দনিক ডিজাইনের কারণে মুন্সিগঞ্জের সবকটি উপজেলায় এ ধরনের ঘরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 

বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জের প্রবাসীদের প্রথম পছন্দ বাহারি ডিজাইনের টিনের ঘর। মুন্সিগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং, সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে এসব ঘর বিক্রির হাট। ঘর বানিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে জমির ওপর সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা তাদের পছন্দের ঘরটির বাস্তব রূপ দেখে পছন্দ করে কিনে নিয়ে যান। 

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাওঁ, কুন্ডের বাজার, দিঘিরপাড়, বাড়ৈইপাড়া, কালিবাড়ি, কামারখাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘর বিক্রির হাট রয়েছে। শ্রীনগর উপজেলার শ্রীনগর ও দোহার সাড়কের বালাশুর বটতলা ও কামারগাঁও এলাকার রাস্তার পাশে খোলা স্থানে ঘর তুলে রেখেছেন ঘর ব্যবসায়ীরা। এছাড়া একই উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকায়ও রয়েছে ঘর তৈরির কারখানা। সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর, ইছাপুড়া লৌহজং উপজেলার নওপাড়া, মালিলংক, হাট বুগদিয়া, বড় নওপাড়া এলাকায়ও ঘর বিক্রির হাট রয়েছে। 
ঘর নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে নাইজেরিয়ান লোহাকাঠ দিয়ে বেশির ভাগ ঘর তৈরি করা হয়। এছাড়া সেগুন, শাল, বাচালু ও ওকান কাঠের ঘরের চাহিদাও রয়েছে। একটি এক তলা ঘর নির্মাণ করতে ৫-৭ জন শ্রমিকের ৮-১০ দিন সময় লাগে। ঘরগুলো বিক্রি হয় ২ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকায়। এর চেয়ে বেশি দামেও ঘর পাওয়া যায়। তবে সেগুলো অর্ডার করার পর বানিয়ে দেওয়া হয়।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন