আমতলীতে শিক্ষকের কান ছিঁড়ে ফেলেছে ছাত্ররা
আমতলীতে নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে তোলায় দুই ছাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে। সোমবার সকালে আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরে ওই দুই ছাত্র পালিয়ে গেছেন। মাদরাসার অন্য ছাত্র ও শিক্ষকরা আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
জানা গেছে, আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের সোমবার ভোর রাতে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি।
ঘুম থেকে তোলায় মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৯) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (২০) ক্ষুদ্ধ হয়ে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে গাছের গুঁড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। আঘাতে শিক্ষক রাফির কানের উপরের অংশ মাথা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা শিক্ষককে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি।
আমতলীর কওমিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এখানো এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর