ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news

আ'লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, কারাগারে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী 

আ'লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, কারাগারে বিএনপির ৬ নেতাকর্মী 
বরগুনা আদালত থেকে আসামিদের পুলিশ ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

বরগুনা আদালত থেকে আসামিদের পুলিশ ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সময় বরগুনায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে করা মামলা তিন ইউপি সদস্যসহ বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে একজনকে জামিন দিয়েছে আদালত।

রোববার দুপুরে বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন বলে জানান একই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) ইসরাত হোসেন সুমন।


কারাগারে যাওয়ারা হলেন- বরগুনা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এমদাদুল হক মিলন (৪৫), এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিল্টন (৪৪), ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সোলায়মান কবির ইউনুস (৪৬), ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব আকতারুল হক (৪৫), বিএনপি কর্মী মন্টু মল্লিক (৫০) এবং জামাল মল্লিক (৪৫)। জামিন পেয়েছেন সাইফুল প্রিন্স (২৫)।

মামলার বরাতে এপিপি ইসরাত হোসেন সুমন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাইঠা সেতু সংলগ্ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মনিরুজ্জামানের স্ত্রী মুন্নি বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নামে আদালতে মামলার আবেদন করেন বলে জানান তিনি।

পরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরগুনা থানার ওসিকে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এইচ এম মেহেদী আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে জানান এপিপি ইসরাত হোসেন সুমন।


মামলার বাদী মুন্নি বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার আদালতের হাকিম না থাকায় আসামিরা অন্য একটি আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেয়। পরে রোববার দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিনের আবেদন করলে বিচারক ছয়জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


তবে আদালত একজনকে জামিন দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার অপর আসামি কামরুল ইসলাম মিরাজ বিদেশে পালাতক রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, আসামিরা জামিনে ছিল। তারা জামিনে থেকে কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। এ ছাড়া ৫ অগাস্টে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, সেসব মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হোসেন সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন পান। পরে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


 

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন