বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা, খোলা থাকবে শনিবারও


বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ করায় দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আগামীকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে ক্লাসে ফিরছেন। তারা কর্মবিরতিসহ সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে। বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাসসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, টানা আটদিন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যেতে পারেননি। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি ছিল। সরকার দাবি পূরণ করায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার স্কুল খোলা রাখবো। যে আটদিন শ্রেণিকক্ষে যেতে পারিনি, সেই আটদিন পুষিয়ে দেবো।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি ছিল। বাড়িভাড়ার বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। বড় দাবিটি পূরণ হয়েছে। এটাই আমাদের বড় বিজয়। আন্দোলন করে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বাড়ি ফিরছি। আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফিরছি।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানে ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়ার সিদ্ধান্তে ঐকমত্য হয় উভয়পক্ষ। এরপর দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতিপত্র দেওয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মোসা. শরীফুন্নেসার সই করা চিঠিতে এ সম্মতি দেওয়া হয়। এতে আগের (১৬ অক্টোবর) সম্মতিপত্রটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।
সম্মতিপত্রে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের সাড়ে ৭ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা পাবেন। আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে আরও সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা যুক্ত হবে। সবমিলিয়ে ১৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেওয়া হবে।
টানা ১০ দিনের আন্দোলনের মুখে সরকার ১৫ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দিতে সম্মত হওয়ায় খুশি শিক্ষকরা। যদিও তারা ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা দাবি করে আসছিলেন। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে এটিকে বিজয় হিসেবে দেখছেন শিক্ষক নেতারা।
এইচকেআর
