আমৃত্যু থেকে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ

২০২৪ সালের জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যে অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছিল সেটির বিরুদ্ধে আপিল করে মৃত্যুদণ্ড চাইবে রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম।
গত ১৭ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ ফজলে নূর তাপসের এবং পরবর্তীতে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে শোনা যায়, আসামি শেখ হাসিনা ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং অপরাধ সংঘটনে আসামিরা তার অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি। এর ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট চানখারপুলে ৬ জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। একইদিন পুলিশ কর্তৃক আশুলিয়ায় ৬ জন আন্দোলনকারীকে হত্যার পর তাদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
অপর মামলার অভিযোগ: ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। সে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনে আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলে তাদের ফাঁসি দিব মর্মে উস্কানি ও আদেশ দেন। এবং অপরাধ সংঘটনে আসামিরা তার অধীনস্থদের কোনো বাধা দেননি। এরই ফলশ্রুতিতে রংপুরে আবু সাঈদকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে হত্যা করা হয়। এই মামলায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।
গাজী এম এইচ তামীম বলেন, একটি অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা রায় পর্যালোচনা করছি। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেটির বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য।
এইচকেআর