বিমানবন্দরে ছোড়া রকেট আকাশেই ধ্বংস করেছে আমেরিকা


কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রকেট ছোড়া হয়েছে এবং খবর পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে রকেটগুলোকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে আক্রমণের খবর, তবে তারা এও বলেছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিক সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া 'বাধাহীনভাবে চলবে'। এর আগে গতকাল রবিবার বিমানবন্দরের কাছে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়ে একটি সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করা হয় বলে দাবি করে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবারের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।
আজ সোমবার সকালে আফগান সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, একটি গাড়ি থেকে পাঁচটি রকেট ছোড়া হয় যার লক্ষ্য ছিল কাবুলের বিমানবন্দর অভিমুখে। মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা এই রকেট হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমের ভিডিও ও ছবিতে কাবুলের ভবনের ওপরে ধোঁয়া দেখা গেছে এবং রাস্তায় একটি জ্বলন্ত গাড়িও দেখা গেছে। হোয়াইট হাউজ বলছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই আক্রমণ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
"প্রেসিডেন্টকে জানানো হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে আমাদের লোক ফিরিয়ে আনার কাজ বাধাহীনভাবে চলবে। প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পুনরায় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে সেখানে আমাদের বাহিনীকে সুরক্ষা দিতে কমান্ডাররা দ্বিগুণ প্রচেষ্টায় কাজ চালিয়ে যায়," হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি একটি বিবৃতিতে এই কথা জানান।
আজকের ঘটনায় আফগান বা মার্কিন কোন নাগরিক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পেন্টাগন পৃথকভাবে রবিবারের ড্রোন হামলায় হতাহতের সংখ্যার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কর্তৃপক্ষ বলছে একটি গাড়ি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে, মারা গেছেন সেখানে একজন। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী গাড়ির ভেতর বোমা জাতীয় পদার্থের বিস্ফোরণে আরো হতাহত হতেও পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ড্রোন হামলায় একই পরিবারের নয়জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে শিশুও আছে।
ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় সহযোগীরা এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ সাবধান করে দিয়েছে আমেরিকান ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের উদ্ধারকাজে বাধা দিতে আরো হামলা করতে পারে জঙ্গীরা। ৩১শে অগাস্টের মধ্যে সবাইকে ফিরিয়ে আনার কথা বলছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। যেকোনও প্রকার আক্রমণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা বসিয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ মন্ত্রীরা ও কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে কৌশল নির্ধারণে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকে বসবেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর সাথে নেটো ও কাতারের সাথে আলোচনায় বসবেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আফগানিস্তানে যারা দেশটি ছাড়তে চান তাদের নিরাপদে দেশ ছাড়তে দেওয়ার জন্য কাবুলকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার কথা রয়েছে ফ্রান্স ও ব্রিটেনের।
এমবি
