কাবুলে মার্কিন হামলায় নিহতরা কাজ করতেন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই


কাবুলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় একই পরিবারের ৬ শিশুসহ দশ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘বড় ভুল’ হিসেবে দেখছেন অনেকে। এবার জানা গেল শিশু ছাড়া নিহত অন্য আফগান নাগরিকরা মার্কিন বাহিনীর জন্য কাজ করতেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্যও আবেদন করেছিলেন। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রবিবার কাবুলে মার্কিন বাহিনীর ড্রোন হামলায় নিহত ওই ১০ জন একই পরিবারের সদস্য ও তাদের মধ্যে ৬ জনই শিশু। আইএস-কের আত্মঘাতি বোমা হামলা ঠেকাতে এ হামলা চালানো হয় বলে ওয়াশিংটনের দাবি।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলছে, যে গাড়িটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, সেটিতে আত্মঘাতী বোমাসহ জঙ্গিগোষ্ঠীটি আইএস-কের এক সদস্য ছিল বলে সন্দেহ। কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালানোর উদ্দেশেই গাড়িটি যাচ্ছিল।
বিবিসি বলছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজন পূর্বে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষে কাজ করতেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার জন্য ভিসাও নিয়েছেন। নিহত সবচেয়ে ছোট শিশু সুমাইয়ার বয়স দুই বছর এবং বড় শিশু ফারজাদের বয়স ১২।
নিহতের আত্মীয় রামিন ইউসুফি বলেন, এটি ভুল, এটি নৃশংস হামলা এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে হামলাটি ঘটেছে।
আরেক আত্মীয় ইমাল আহমাদি বলেন, হামলায় তার দুই বছর বয়সী কন্যা নিহত হয়েছেন। বলেন, তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করেছিলেন এবং বিমানবন্দরে যেতে তাদের ফোনের অপেক্ষায় আছেন।
হামলায় নিহত তার আত্মীয় নাসের, পূর্বে মার্কিন বাহিনীর জন্য ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক হিসেবে কাজ করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা অনেক বড় ভুল। যোগ করেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড জানিয়েছে, তারা হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত করছে।
এমবি
