শ্বশুরের সাথে পুত্রবধূর বিয়ে! এলাকায় তোলপাড়

আসাদুজ্জামান সোহাগ কাঠালিয়া :-
ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া গ্রামে পুত্রবধূর সাথে শ্বশুরের পরকীয়া অত:পর বিয়ে।
উপজেলার হেতালবুনিয়া গ্রামের আ: রহমান হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদারের ইসলাম শরীয়ত মোতাবেক গত১১ মার্চ (২০০৯) দক্ষিণ চেচরী গ্রামের হায়দার আলী হাওলাদারের মেয়ে শিরিন আক্তারের বিয়ে হয়। বছর যেতেই তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। স্ত্রী সন্তানকে রেখে মামুনকে চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। সেই সুযোগে স্ত্রী শিরিন বেগম মামুনের চাচা মৃত মোশন হাওলাদারের ছেলে মাহাবুব হাওলাদার ওরফে (রুস্তম) এর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মামুনের স্ত্রী চাচা শ্বশুর কে বিয়ে করেন। পালিয়ে দীর্ঘদিন ভাণ্ডারিয়ায় বাসা ভাড়া করে গোপনে বসবাস করতে থাকেন। শিরিনের স্বামী মামুন হাওলাদার ভোলায় আনসার ভিডিপির ডিউটি কালীন স্ট্রোক করে মারা যাযস।
এদিকে মামুন হাওলাদার মারা যাবার পরে ওই বাড়িতে নাটকীয় ভাবে আসবার চেষ্টা করেন স্ত্রী শিরিন। চেষ্টায় ব্যর্থ হলে পুনরায় মামুন হাওলাদারের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের মেয়ে ফারজানাকে (৮) কৌশলে মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফারজানাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ফারজানা তার ফুপু ও দাদার কাছে রয়েছে।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাচা শ্ব্শুর কে বিবাহ করেছেন এমন তথ্যপ্রমাণ জনসম্মুখে প্রমাণিত হলে ৮ বছরের শিশু সন্তান ফারজানাকে ফেলে রেখে এলাকা থেকে চলে যান শিরিন।
বর্তমানে স্বামী চাচা শ্বশুর মাহবুবুর রহমান ওরফে( রুস্তুম) হাওলাদারকে নিয়ে একই এলাকায় বসবাস করছেন শিরিন বেগম।
এই বিষয় মামুন হাওলাদারের চাচা মো:মাহবুবুর রহমান রুস্তুম সাংবাদিকদের বলেন, মামুনের সাথে ডিভোর্স হওয়ার ১ বছর পরে আমি মামুনের স্ত্রী শিরিনকে বিবাহ করেছি। স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমি শিরিনকে বিবাহ করি নাই। তিনি বলেন, শিরির দুশ্চরিত্রা আমাকে জোর করে বিবাহ করাতে বাধ্য করছে। আবার ভান্ডারিয়ার কাজীর মাধ্যমে ৬মাস আগে ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে।
মৃত মামুন হাওলাদারের বোন লাইলী বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সময় মামুনের সন্তান ফারজানাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছেন মাহাবুব ওরফে রুস্তুম। বর্তমানে শিশুটিকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । যেকোনো সময় শিশুটিকে গুম করে ফেলতে পারে রুস্তম ও শিরিন।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনাকে চাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী রুস্তম পুত্রবধূকে বিবাহ করে এলাকার মান সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। অতি দ্রুত একে আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, মাহবুব ওরফে রুস্তুম হত্যা মামলায় জেল হাজতে ছিলেন। তার নামে কাঠালিয়া থানা ও ঝালাকাঠি আদালতে একাধিক মামলা চলমান। এর কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।
এই বিষয়ে কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, আমি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমবি