গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার বিলে অবৈধ জালের ব্যবহার: হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

বিলাঞ্চলে কারেন্ট জাল ব্যবহারের চেয়েও ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল। এতে দেশীয় মাছসহ জলজ জীব-বৈচিত্র্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আগৈলঝাড়া, গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে চায়না দুয়ারী জাল। গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব জাল বিক্রি করে যাচ্ছেন একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছ এ জালে আটকা পড়ায় মৎস্যজীবিদের কাছে চায়না দুয়ারী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
গৌরনদী উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মৎস্যজীবি আলী হোসেন জানান, দীর্ঘবছর যাবত খাল-বিল থেকে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে চায়না জাল প্রকৃত মৎস্যজীবিদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জালের বিস্তার রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে খাল-বিলে কোন মাছ খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
এবিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসেম জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার একাধিক বিলে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চায়না জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি মৎজীবিদের সচেতন করে তোলা হচ্ছে। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিষিদ্ধ চায়না জাল বিক্রি বন্ধে হাট-বাজারগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও যাতে কোন ব্যবসায়ী এ জাল বিক্রি করতে না পারে সেজন্য মৎস্য কর্মকর্তাদের নজরদারি বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।