শিক্ষা জীবনের ঘাটতি পূরণে একযোগে কাজ করতে হবে- তাসমিমা হোসেন


দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অন্যন্যা’র সম্পাদক ও সাবেক এমপি তাসমিমা হোসেন বলেছেন, বৈশ্বিক অতিমারি করোনার কারণে সারা দেশে দেড় বছর ধরে (৫৪৪দিন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
যদিও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অনলাইনে পাঠদান অব্যহত রাখে। কিন্তু অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলো। কারণ অনেক অভিভাবকের পক্ষে তার পোষ্যদের স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ কিনে দেয়ার সামর্থ ছিলো না। ফলে এ সব শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে।
শনিবার (২ অক্টোবর) ভাণ্ডারিয়া মজিদা বেগম মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বোডি’র সদস্যদের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় গভর্নিং বডির সভাপতি তসমিমা হোসেন এসব কথা বলেছেন।
এর আগে দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি মজিদা বেগম মহিলা কলেজ খুলে দেয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ক্লাশ কার্যক্রমের অবস্থা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে তিনি কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় কলেজ মিলনায়তনে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, করোনাজনিত ঘাটতি পুষিয়ে নিতে বিশেষত শিক্ষকদের অধিকতর সক্রিয় হতে হবে। ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পাঠ্য বইয়ের বাইরেও বাস্তবমুখী শিক্ষা প্রদানের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
নারী শিক্ষা প্রসারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সদরে ১৯৮৯ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। যার ফলে ভাণ্ডারিয়া ও সন্নিহিত উপজেলার নারীরা এ সময়কালে এ কলেজে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে এবং সমাজে একদল শিক্ষিত মায়ের উম্মেষ ঘটেছে।
তাসমিমা হোসেন বলেন, আমাদের চিন্তা ভাবনাকে ক্ষুদ্র পরিসর থেকে এখন বৃহত্তর পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দিতে হবে। শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধিতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী করোনা নামে এক অদৃশ্য সংক্রমণে দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী থাকায় এ সকল চর্চা ব্যহত হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক চিন্তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
তাই এই ঘটতি পূরণে শিক্ষা দানের পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক চর্চার বিস্তার ঘটাতে হবে। মানব সেবার জায়গা থেকেও সকলকে আন্তরিক হতে হবে। অর্থনৈতিক সফলতা অর্জনে নারীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও কর্মজীবি হতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার উপরও বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু জাফর, সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম, সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার রুবী, সহকারী অধ্যাপক বিশ্বাস সাইদুর রহমান, প্রভাষক অমিতা কর্মকার, রেশমা আক্তার প্রমুখ।
এছাড়া তাসমিমা হোসেন কলেজ গর্ভনিং বোডি’র সদস্যদের সাথে পৃথক সভায় মিলিত হন। এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনি জোমাদ্দার, গোলাম সরওয়ার জোমাদ্দার, আব্দুস সালাম খন্দকার, মো. মহসীন মিয়া শাহীন প্রমুখ।
শেষে তাসমিমা হোসেন কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং এসময় তাঁকে শিক্ষার্থীরা উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কে আর
