ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

৬ মাস পরই কমতে থাকে ফাইজার টিকার কার্যকারিতা

৬ মাস পরই কমতে থাকে ফাইজার টিকার কার্যকারিতা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর করোনা টিকা বলে পরিচিত ফাইজার-বায়োএনটেক; কিন্তু এই টিকার করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা কমতে শুরু করে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করার ছয় মাস পর থেকেই।

তবে মূল করোনাভাইরাসের পাশাপাশি এর সবচেয়ে সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টাসহ অন্যান্য ধরনের বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রচলিত করোনা টিকাগুলোর মধ্যে এখনও সবচেয়ে কার্যকর ফাইজার-বায়োএনটেক।

সম্প্রতি টিকা ও ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান কাইজার পার্মানেন্টের এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। গত ৪ অক্টোবর বিশ্বের শীর্ষ চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশ করা হয়েছে এ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধটি।

গত আগস্টে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল এই প্রবন্ধটি, কিন্তু সেসময় এর পিআর রিভিউ হয়নি।

গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা করোনায় মৃত্যু ও এ রোগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমাতে সক্ষম। এমনকি, এই ভাইরাসের অতি সংক্রমক পরিবর্তিত  ধরন ডেল্টার ক্ষেত্রেও এই টিকার কার্যকারিতার কোনো হেরফের হয় না।

তবে এই কার্যকারিতা বা প্রতিরোধী শক্তির মেয়াদ থাকে মাত্র ৬ মাস। অর্থাৎ, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত ‘নিরাপত্তা’ ভোগ করতে পারবেন টিকাগ্রহণকারী।

এই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরই মানবদেহে হ্রাস পেতে শুরু করে ফাইজার টিকার কার্যকারিতা। ক্ষেত্রবিশেষে এই হ্রাসের হার ৪৭ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ৩০ লাখ ৪০ হাজার মানুষের, যারা ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগস্টের মধ্যে ফাইজার টিকার দুই ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা।  

গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর প্রথম মাসে মানবদেহে ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ৯৩ শতাংশ প্রতিরোধী শক্তির উপস্থিতি থাকে; কিন্তু চার মাস পর এই হার নেমে আসে ৫৩ শতাংশে।

ডেল্টা ব্যতীত করোনাভাইরাসের অন্যান্য পরিবর্তিত ধরনের ক্ষেত্রে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর প্রথম মাসে ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা ভোগ করেন টিকাগ্রহণকারী, কিন্তু চার মাস পর তা হ্রাস পেয়ে নেমে আসে ৬৭ শতাংশে।  

ডেল্টা ধরনের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়, মৃতের সংখ্যা ছাড়াচ্ছে দু’ হাজার।

পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নাগরিকদের করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতেই গত জুনে এই গবেষণা শুরু করেছিল ফাইজার এবং কাইজার পার্মানেন্ট।

সূত্র : রয়টার্স


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন