ঢাকা রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news
স্যালাইনের জন্য সিভিল সার্জনের কাছে পত্র

মনপুরা হাসপাতালে তিনদিনে দেড় শতাধিক ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি 

মনপুরা হাসপাতালে তিনদিনে দেড় শতাধিক ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় তীব্র গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। এতে  উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার শেষ ভরসারস্থল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ডায়রিয়ার স্যালাইনও নেই। এতে বিপাকে পড়েছে রোগীরা, বাইরে থেকে রোগীর স্বজনরা বেশি দামে স্যালাইন কিনে নিচ্ছে। তবে স্যালাইনের ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রেজায়ানুল আলম।


জানা যায়, বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপকূলে গত তিনদিনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেড় শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে হাসপাতালে স্টকে থাকা ডায়রিয়ার স্যালাইন শেষ হয়ে যায়। তবে ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রোগীর চাপ বাড়ায় বেড় সংকটে অনেকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে আবার চরফ্যাসন ও ভোলা গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 


এদিকে রোগীর চাপ বাড়ায় স্যালাইন শেষে হয়ে গেলে পাশ্ববর্তী উপজেলা তজুমুদ্দিন থেকে ট্রলারযোগে কিছু স্যালাইন মনপুরায় নিয়ে আসলে তাও শেষে হয়ে যায়। বর্তমানে হাসাপাতালটিতে ডায়রিয়ার স্যালাইন নেই বললে চলে। তবে জেলা থেকে জররী চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন পাঠানো হচ্ছে। ভর্তিকৃত অনেকে রোগী বাহির থেকে স্যালাইন কিনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 


বুধবার সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে ৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে সবগুলো বেডে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি। হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগী দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের আরাফাত, দেড় বছরের বাচ্চা ইয়ামিনের অভিভাবক হুমায়ন, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ছাব্বির, হাজিরহাট ইউনিয়নের দেলোয়ার ও নার্গিস যুগান্তরকে জানান, ডায়রিয়ার স্যালাইন নাই। বাহির থেকে স্যালাইন কিনে আনলে তারপর ডাক্তার স্যালাইন পুশ করে।


মনপুরা হাসপাতালে স্যালাইন নেই স্বীকার করে যুগান্তরকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্যালাইন সংকট এর কারনে ডায়রিয়া রোগিদের চিকিৎসা দিতে পারছিনা। বাহিরেও স্যালাইন সংকট রয়েছে। সর্বপরি আমরা রোগীদের নিয়ে বিপদে রয়েছি।


এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ডাঃ রেজয়ানুল আলম যুগান্তরকে জানান,বর্তমানে মনপুরায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়রিয়া রোগির স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে। তারপর ট্রলার করে তজুমুদ্দিন থেকে কিছিু স্যালাইন এনেছি’। সেই স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে। ভোলায় থেকে ৫ শত ব্যাগ স্যালাইন আনা হচ্ছে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন