চরফ্যাসনে দুই হাত বেঁধে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে শিশুকে নিযার্তন


চরফ্যাসনের আসলামপুরে প্রতিবেশীর ৮বছরের শিশু পুত্রকে ঘরে আটকে আড়ার সঙ্গে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে বেদম প্রহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিবেশী সাজাহানের বিরুদ্ধে। এসময় শিশুটির চিৎকারে মা শাহিনা প্রতিবেশীর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত শিশুর হাতের রশি কেটে তাকে আটকাবস্থা থেকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান শিশুটির চিকিৎসা চলছে। গত রবিবার (১৮ এপ্রিল )
আসলামপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে সাজাহানের বসত ঘরে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন শিশুটির মা বাদী হয়ে সাজাহানকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তা সাধারন ডায়েরী করেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) এঘটনায় সাধারণ ডায়েরী করিয়েছেন বলে শিশুর মা শাহিনা বেগম গতকাল মঙ্গলবার সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন ঘটনাটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের আওতায় পড়েনা তাই এঘটনায় সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।
শিশুর মা শাহিনা বেগম অভিযোগ করেন, ১৮এপ্রিল তার ০৮ বছর বয়সী শিশু পুত্র নিহাদের ঘুড়ি হারানো গেলে সে পাশের বাড়িতে তা খুঁজতে যায়। এসময় প্রতিবেশী গৃহকর্তা সাজাহান শিশুটিকে ঘরে নিয়ে দুই হাত রশি দিয়ে বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে বেদম প্রহার করেন। ছেলের চিৎকার শুনে তিনি ওই ঘরে গিয়ে তার পুত্রকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পাশে থাকা কুঠার দিয়ে রশি কেটে তাকে উদ্ধার করেন।
এসময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় ১৯ এপ্রিল থানায় লিখিত এজাহার দিলেও পুলিশ ২০ এপ্রিল এঘটনায় সাধারণ ডায়রী করিয়েছেন। ডায়েরী নং ৭৪৮ তারিখ ২০ এপ্রিল। শাহিনা বেগম আরো বলেন, ছেলের উপর এমন হামলার ঘটনায় বিচারের জন্য আমি আদালতে আশ্রয় নিবো ।
অভিযুক্ত সাজাহান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি মনে করেছি সে আমার বাড়িতে চুরি করতে এসেছে। তাই আমি তাকে দুই হাত বেঁধেছি এবং দুই তিনটা থাপ্পর মেরেছি। এটা আমার অপরাধ হয়েছে।
চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, শিশুটির মা তার ছেলেকে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে মারধরের অভিযোগ করেছে। বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের আওতায় পড়ে না তাই সার্কেল স্যারের সাথে পরামর্শ করে এঘটনায় সাধারণ ডায়রী করেছি।
জানতে চাইলে এএসপি (চরফ্যাসন সার্কেল) শেখ সাব্বির হোসেন জানান সাধারণ মারধরের ঘটনা তাই জিডি হয়েছে।আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
