মিতু হত্যায় ‘অস্ত্র সরবরাহকারী’ ভোলা ফের গ্রেপ্তার

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে ‘অস্ত্র সরবরাহকারী’ এহেতাশামুল হক ভোলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বেনাপোল সীমান্ত থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম নগরীর পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা জানান।
তিনি বলেন, দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য তিনি বেনাপোল গিয়েছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিদর্শক সন্তোষ বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফিউদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ভোলা।
জবানবন্দিতে ভোলা অনেক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দেওয়ার কথা জানালেও সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত উপকমিশনার বাবুলের স্ত্রী মিতু।
সেই ঘটনায় বাবুল মামলা করলে ওই বছরের ২৮ জুন গ্রেপ্তার করা হয় বাবুলের ‘সোর্স’ হিসেবে পরিচিত ভোলা।
মিতু হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম তার জবানবন্দিতে ‘হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি ভোলা সরবরাহ করেছিল’ বলে জানিয়েছিল।
এরপরই পুলিশ বাকলিয়া এলাকা থেকে ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা পিস্তলটি মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয় বলে দাবি পুলিশের।
এ ঘটনায় পুলিশ ভোলা ও মনিরকে আসামি করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করে এবং ভোলাকে মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে জামিনে মুক্তি পান ভোলা।
১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাই কোর্ট বেঞ্চ ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়।
এদিকে পাঁচ বছর পর মিতু হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই বাবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পর গত মে মাসে তার করা মামলার ইতি ঘটে।
এরপর মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাবুলকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করলে সেই মামলায় সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন মামলায় বাবুল ছাড়াও আরও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের একজন ভোলা।
এইচকেআর