ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news
আলোচনাসভায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা

পহেলা ডিসেম্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি

পহেলা ডিসেম্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি
পহেলা ডিসেম্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণার দাবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সকল সরকারি চাকরিতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। একইসঙ্গে তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত গেজেট প্রকাশ করে পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা ও মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এই দাবি জানান তারা। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহুরুল হক ডিপটির সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম (কদেরীয়া বাহিনী), মনির খন্দকার, মো. আলী চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, আব্দুস সালাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উত্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলো হলো বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বস্তরে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ থাকতে হবে। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৪০ হাজার টাকায় উন্নীত করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বসতভিটায় সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় খরচে মানসম্মত বাসস্থান ও রেশনের সু-ব্যবস্থা করতে হবে। বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি খরচে সকল সরকারি-বেসরকারি হাসাপাতালে সর্বোত্তম চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। খাজনা, পৌরকর, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল মওকুফসহ যানবাহনে বিনা ভাড়ায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি খরচে পবিত্র হজ্জব্রত পালনের ব্যবস্থা করদে হবে। পহেলা ডিসেম্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার জহুরুল হক ডিপটি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়ায় সারা দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা হয় না। এ ছাড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসছে না তালিকায়। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তাদের অর্ন্তুভুক্ত করা হচ্ছে। তাই আজকের এই সভার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে অকুতোভয় বীরমুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুর পূর্বে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে।

সভায় বক্তারা বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকাকে রাজাকারের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। এখন আবার নতুন করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের চেষ্টা চালাছে। চারিদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই মুক্তিযোদ্ধের সজাগ থাকতে হবে। যাতে রাজাকার- আলবদরা ক্ষমতায় বসতে না পারে, সে বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তারা।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন