ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিচারক রকিবুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন পিপি কাজী বসির উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম বরিশালে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক ৪ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় শহীদ’, ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা কেন নয় বরিশালের ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি পিরোজপুরে পথসভা থেকে ফেরার সময় এনসিপি নেতার ওপর হামলা
  • রুনা লায়লা: ৬৯ বছরের জীবনে ৫৭ বছরই গানে!

     রুনা লায়লা: ৬৯ বছরের জীবনে ৫৭ বছরই গানে!
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


    এক সাক্ষাৎকারে রুনা লায়লার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, গান না করলে তিনি জীবনে কী করতেন? উত্তরে নির্ভাবনায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে শিল্পী ছাড়া আর কোনোরূপেই পাওয়া যেত না। আমার জন্মই হয়েছে গানের জন্য। গান ছাড়া আমি আর কিছুই পারি না।’

    এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। রুনা লায়লার বয়স এখন ৬৯ বছর। এর মধ্যে ৫৭ বছরই তিনি গান করছেন! আজ ১৭ নভেম্বর তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে কিংবদন্তির অতীতের খাতায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক…

    ১৯৫২ সালের এই দিনে রুনা লায়লা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আমিনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। আড়াই বছর বয়সে বাবার চাকরি বদলির সুবাদে পাকিস্তানের মুলতানে যান তিনি। 

    একেবারে ছোট বেলায় গানের চর্চা শুরু করেন রুনা লায়লা। ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন আহমেদ, আবদুল কাদেরের কাছে ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত শিখেছেন তিনি। এছাড়া পণ্ডিত গোলাম কাদিরের কাছ থেকে গজলে দীক্ষা নিয়েছিলেন। 

    মাত্র ৬ বছর বয়সে দর্শকের সামনে গান গাওয়া শুরু করেন রুনা লায়লা। এরপর মাত্র সাড়ে ১১ বছর বয়সে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। করাচিতে ‘জুগনু’ সিনেমার মাধ্যমে তার সেই পথচলা শুরু হয়েছিল। তবে বাংলা সিনেমায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ সিনেমায়। 

    এরপরের ইতিহাসটা তো সিনেমাপ্রেমী সবারই জানা। দেশীয় সিনেমার গানের দিকে ফিরে তাকালে হাতেগোনা যে ক’জন সংগীতশিল্পীর নাম জ্বলজ্বল করে, তাদেরই একজন রুনা লায়লা। তার কণ্ঠে অসংখ্য গান কালজয়ী হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে রৈবাগী’, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘জীবনও আঁধারে পেয়েছি তোমারে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট করিলাম’ ও ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায়’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো’ প্রভৃতি।

    গায়িকা তার বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানে তার দারুণ জনপ্রিয়তা। সেখানকার শিল্পীরা মাথানত করে সম্মান জানান এই কিংবদন্তিকে। 

    সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য রুনা লায়লা পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। এছাড়া ছয়বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এরমধ্যে একবার সুরকার হিসেবে। ভারত থেকে তিনি পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার, সংগীত মহাসম্মান পুরস্কার। পাকিস্তান থেকেও তিনি বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। যেমন- নিগার পুরস্কার, জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক ইত্যাদি। 


    এসএম
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ