ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news
খুচরা বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটে কেজিদর, মুনাফা লোপাট করছে আড়ৎদারেরাও 

লোকসানের মুখে গ্রামছাড়া তরমুজ চাষী 

লোকসানের মুখে গ্রামছাড়া তরমুজ চাষী 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

মৌসুমি ফল তরমুজ। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন। এ বছর পবিত্র মাহে রমজান ও গ্রীষ্মকাল ঋতুচক্রে এক সাথে এসে যাওয়ায় সেই চাহিদা যেকোন বছরের চেয়ে বেশি। ওদিকে চলমান করোনাকালীন সময়ে ফ্রিজিং পানীয়, আইসক্রীম খেতে নিরুৎসাহিত মানুষেরা অতিমাত্রায় ঝুঁকেছেন তরমুজের ওপর। জরিপ বলছে দেশে চাহিদার ৬৫ শতাংশ তরমুজ উৎপাদিত হয় দক্ষিণাঞ্চলে। কিন্তু সেই দক্ষিণাঞ্চলেই তরমুজের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কৃষি অধিদফতর জানিয়েছে, বিগত যেকোন বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারন তাদের কাছেও নেই। 

অথচ খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, লোকসান কাটছেই না তাদের। মূলত লোকসান কাটাতেই ‘লট মূলে’ আড়ৎ থেকে কিনে কেজিদরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এইসব নানাবিধ কারনে মৌসুমের সুস্বাদু ফল তরমুজ নিয়ে মাতামাতি চলছিল। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সম্পূর্ণ বাইরে চলে যাওয়া তরমুজ কেজিদরে বিক্রির বিষয় এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। সর্বপ্রথম বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্রেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেজিদরে বিক্রেতাদের জরিমানা করে আলোড়ন তোলেন। সাধারণ মানুষ সেই অভিযানকে সাধুবাদ জানান। একই সাথে দেশব্যাপী অভিযান শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু তারপরও থামছে না কেজিদরে বিক্রির সিন্ডিকেটের জাল। 

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এর নেপথ্যের আদ্যোপান্ত.... 
নদী বিধৌত পলিমাটি আবৃত বরিশাল বিভাগের দ্বীপ জেলা ভোলা ও উপক‚লীয় জেলা পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ হয়ে থাকে। বিভাগীয় কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর খামার বাড়ির তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২৪ হাজার ৪৮১ হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। সর্বোচ্চ ফলন হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এ জেলায় ১৪ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের ফলন হয়েছে। গত বছরের থেকে এ বছর পটুয়াখালী জেলায় কিছু কম জমিতে তরমুজের আবাদ হলেও ফলন গত বছরের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। এদিকে, পটুয়াখালী জেলার বাইরে বাকি পাঁচটি জেলায় কম-বেশী তরমুজের ফলন হয়েছে। 

এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৪৬৩ হেক্টর, পিরোজপুর জেলায় ১৪৮ হেক্টর, ঝালকাঠি জেলায় ৩৫ হেক্টর, বরগুনা জেলায় ৪ হাজার ৪৩ হেক্টর এবং ভোলা জেলায় ৫ হাজার ৫৫৬ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। বিভাগে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বরিশাল জেলার মধ্যে দ্বীপ উপজেলা মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, বাবুগঞ্জ এবং বরিশাল সদরে উলে­খযোগ্য হারে তরমুজ উৎপাদিত হয়। সরেজমিনে মেহেন্দীগঞ্জের চর লড়াইপুর, তালুকদার হাট, জাঙ্গালিয়া এবং বরিশাল সদর উপজেলার চরআইচা, লাহারহাট চর ঘুরে দেখা গেছে মাঠে তরমুজ তোলার ব্যস্ততা নেই। টানা সাড়ে তিন মাসের পরিশ্রমের বিশ্রাম নিচ্ছেন বাড়িতে অবসর কাটিয়ে। পাশাপাশি দাদন, কর্জ, সুদ ব্যবসায়ীদের সাথে বোঝাপড়াও করে নিচ্ছেন। কেউ কেউ চাষে মূলধন ওঠেনি বলে এলাকা ছেড়েছেন ইতিমধ্যে। 

চাষীরা জানিয়েছেন, ১৩ দিন আগে সর্বশেষ তোলা নিয়ে গেছেন পাইকাররা। বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তা মাঠের শেষ সময়ের তরমুজ। এগুলোর সবচেয়ে বড় সাইজ হতে পারে ৩/৪ কেজি। এই তরমুজের প্রতি শতক দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় কিনে নিয়েছে। ওদিকে ‘মান সাইজ’র তরমুজের চালান আরো আগে উঠে গেছে। খুচরা বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, চাষীরা অতিরিক্ত দাম চাইছে তাই আড়ৎদারেরা বেশি তুলছেন। এতে বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের। আবার ক্রেতারা তরমুজ বেশি দামে কিনেতে চাইছে না বিধায় কেজিদরে মানুষের ‘ক্রয়ক্ষমতার’ মধ্যে রেখেই বিক্রি করা হচ্ছে। 
রূপাতলী বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সিদ্দিুকর রহমান বলেন, ব্যবসার চালান নিয়ে উঠতে বেশ কষ্ট হচ্ছে আমাদের। বর্তমানে তিনকেজি ওজনের যে তরমুজ ক্রয় করেছি তার ১০০ পিস কিনতে হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। এখানে অনেক তরমুজ রয়েছে পচে যাচ্ছে বা গাড়িতে ওঠাতে-নামাতে গিয়ে নষ্ট হয়েছে। যেগুলো নষ্ট হচ্ছে সেগুলোওতো আমার ২০০ টাকা করে পিস ক্রয় করা। এই ব্যবসায়ী বলেন, ছোট ব্যবসায়ীরা অত্যান্ত লোকসানে আছে। বাজারে তরমুজের দাম বৃদ্ধি বা কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করতে বাধ্য করছে আড়ৎদারেরা। তারা চাষীদের কাছ থেকে তরমুজ কিনে এনে চালানের সবচেয়ে ছোট তরমুজ আর সবচেয়ে বড় তরমুজটি পরিমাপ করেন। 

এরপরে ছোটবড় মিলিয়ে একই দামে লট মূলে বিক্রি করছেন আড়ৎদারেরা। এই বিক্রেতা বলেন, আড়ৎদারদের কারসাজি বন্ধ হলে তরমুজ আকার পিস হিসেবে বিক্রি করা সম্ভব। আরেক খুচরা বিক্রেতা উজ্জল হাওলাদার দাবী করেন, আড়ত থেকে আমাদের উচ্চমূল্যে তরমুজ দিচ্ছে। তারাই আমাদেরকে ঠকাচ্ছে। তাছাড়া ক্রেতারা তরমুজের দাম চাইলে কোন দামই বলেন না। একশ টাকা দাম চাইলে পঞ্চাশ টাকাও বলেন না। এই বিক্রেতা বলেন, এর আগের চালানে ২০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে আমার। লট হিসেবে ক্রয় করে আনার পরে দেখি তারমধ্যে ছোট বড় সব মিলানো। 

অথচ আমার প্রতিটি তরমুজের দাম পড়েছে একই। কিন্তু ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে গেলে তারা সাইজ দেখে দাম বলেন। এজন্য কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করি। এতে করে আমাদের একটু সাশ্রয় হয়। আরেক বিক্রেতা কিসমত বলেন, আমরা আড়ৎ থেকে শত হিসেবে ক্রয় করে নিয়ে আসি। ছোট বড় মিলানো থাকে। আমাদের ক্ষতি পোষাণোর জন্য মূলত কেজিদরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে বরিশাল নগরীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ আড়তে তরমুজ প্রায় শেষের পথে। প্রতি মুহুর্তে খুচরা ক্রেতারা এসে দর করে নিয়ে যাচ্ছেন তরমুজ। এখানে কেজিদরে তরমুজ বিক্রির কোন পদ্ধতিই নেই। 

আড়তদারেরা কৃষকের ক্ষেত থেকে তরমুজ শতক হিসেবে কিনে এনে আড়তে সাজিয়ে রেখে শত হিসেবেই বিক্রি করেন। বিক্রির আগে খুচরা ক্রেতারা লটের তরমুজ ভালোভাবে যাছাই বাছাই করে দেখেন। তারপরে পছন্দ হলে দরদাম করে নিয়ে যান। পোর্টরোডের মেসার্স সাজোয়ান ফ্রন্টস’র স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান উজ্জল বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে আমরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে আনি এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সেইভাবেই বিক্রি করি। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা কিভাবে বিক্রি করে, কেন কেজি দরে বিক্রি করছে তা আমরা বলতে পারি না। আতিকুর রহমান উজ্জল বলেন, মান সাইজ বা ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কৃষকদের ক্ষেত থেকে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় ক্রয় করে আনি। সেই তরমুজের সাথে পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ এবং আমাদের লভ্যাংশ যুক্ত করে বিক্রি করি। কিন্তু আমরা কখনোই কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করি না। মেসার্স বরিশাল ফল ভান্ডারের আড়ৎদার সৌরভ ব্যাপারী বলেন, আড়তে কখনোই কেজিদরে তরমুজ বিক্রি হয় না। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে লটমূলে ক্রয় করে নিয়ে আসি। সেটি লটমূলেই বিক্রি করি। তবে ইদানিং ক্রেতারা আমাদের কাছে এসে কেজিমূলে তরমুজ ক্রয়ের জন্য চাইছে। 

তরমুজের বাজার যখন সরগরম আর আলোচনার তুঙ্গে; খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বরিশালের উলে­খযোগ্য সংখ্যক কৃষক তাদের মূলধন নিয়ে ঘরে উঠতে পারেননি। অনেকেই দাদোন, কর্জ আর সুদের টাকা দিতে পারছেন না। ফলন ভালো হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছেন না। ভোলা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য মেহেন্দীগঞ্জের চরে ঘর বেধেছেন শাহজাহান হাওলাদার। তিনি জানান, ৭৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এরমধ্যে ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজনের তরমুজ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সাইজের। এই সাইজের ১০০ তরমুজ আমরা পাইকারদের কাছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। কেজিদরে কখনোই তরমুজ বিক্রি করা হয় না। কেজিদরে যারা তরমুজ বিক্রি করছে তারা শ্রেফ প্রতারণা করছেন উলে­খ করে এই কৃষক বলেন, এক মৌসুমে ৩০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়ে তিন মাস তিনজন শ্রমিককে বেতন দিয়ে রেখে আর আমার পরিবারের ৪জন মানুষ সার্বক্ষণিত ক্ষেতে পরিশ্রম করে ১৫ হাজার টাকা ব্যবসা হয়েছে। লাহারহাটের নরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আরেক কৃষক ইউসুফ ব্যাপারী বলেন, চলতি বছরে ৩২০ শতাংশে তরমুজ চাষ করিয়েছি ১ লাখ কুড়ি হাজার টাকায়। 

৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের ১০০ তরমুজ ১৯ থেকে ১৭ হাজার টাকায়, তার নিজের অর্থাৎ ৫থেকে ৬ কেজি ওজনের তরমুজ ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় আড়তে দিয়েছি। এছাড়া ১৫ হাজার টাকা বেতনে শ্রমিক,পরিবারের ৫ জন তিন মাস খেটেছি। আর ১ থেকে ৩ কেজি ওজনের তরমুজের শতক দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করি। এই কৃষক বলেন, তরমুজ চাষ করে মোটামুটি জীবন চলে কিন্তু উন্নতি নেই। অনেক কষ্টে চলছে সংসার। চর লড়াইপুড়ে কথা হয় বাউফলের বাসিন্দা জসীম ব্যাপারী বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে তরমুজ চাষ করি। এরমধ্যে এক বছর লাভের মুখ দেখেছি। কিন্তু বাকি চার বছর কোন লাভের মুখ দেখিনি। চলতি বছর ৬৪০ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। একবার তরমুজ তোলার পর জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের অধিকাংশ তরমুজ। এখন আমি সম্পূর্ণ লোকসানের মুখে। জসীম ব্যাপারী বলেন, দাদন, কর্জ আর সুদে টাকা নিয়ে তরমুজ বিক্রি করে সেই টাকা ফেরত দিতে পারিনি। ফলে বাউফল ছেড়ে এখন আমি দুর্গম লড়াইপুর চরে পালিয়ে রয়েছি। এখানে আত্মগোপনে রয়েছি। এলাকায় গেলে পাওণাদার আমাকে পিটাবে। কিন্তু আমি টাকা দেব কিভাবে? ক্ষেতের তরমুজতো সব নষ্ট হয়ে গেছে। আরেক কৃষক মিলন বলেন, জোয়ারের পানি আর করোনার কারেন বাজারে কখনো মূল্য পাই না। 

ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ট্রলার ভাড়া করে আড়তে পৌছে দিলে তারা ‘মাথার তরমুজ’ মানে ১২ থেকে ১৫ কেজি ওজনের তরমুজের ১০০ পিসের দাম দেয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এই চরের আরেক কৃষক সুমন তালুকদার বলেন, ৭ বছর তরমুজ চাষ করে ৬ বছরই লোকসানের মুখে রয়েছি। আমরা মূলত আড়তদারের দ্বারা ঠকে থাকি। আড়তের দালালরা কৌশলে দাম কমিয়ে দেয়। তাছাড়া আমাদের দাদন নেওয়া থাকে। এজন্য দাদনদার বা আড়ৎদার যে দাম দেয় সেটিই মেনে নিতে হয়। সুমন তালুকদার বলেন, তরমুজ চাষ করে আমরা নিঃস্ব। চরে তরমুজ ছাড়া আর কিছুই ভালো হয় না। পলে নিস্ব না হয়ে উপায়ও নেই। জাঙ্গালীয়ার কৃষক ইব্রাহিম ব্যাপারী বলেন, তরমুজ দুই তিন হাজার টাকায়ও শতক বিক্রি করি। আসলে তরমুজ চাষীদের দুঃখের কথা কেউ শোনে না। আমরা চাষ করি আর আমাদের ঠকিয়ে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন। তরমুজের দোকানে প্রায়ই ঝগড়া, মারামারির খবর পাওয়া যায়। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, জিম্মি করে খুচরা বিক্রেতারা একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে নিয়েছেন। বাজার ভিত্তিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বিপুল পরিমানের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বিক্রেতারা। 

রুপাতলীতে কথা হয় ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, খুচরা বিক্রেতারা মানুষকে জিম্মি করে তরমুজ বিক্রি করছেন। তারা আড়ত থেকে শত হিসেবে কিনে এনে কেজিদরে বিক্রি করছে। অতিমুনাফার লোভে এই কাজ করছেন। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। আরেক ক্রেতা পূবালী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মন্ডল দিলীপ কুমার বলেন, আমার জীবনে এই প্রথম কেজিমূলে তরমুজ ক্রয় করছি। বাধ্য হয়ে তরমুজ কিনছি। পরিবারের লোকদের খাওয়াতে হবে আর এরা উচ্চমূল্যে বিক্রি করবে। সেজন্য বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে। ইতিমধ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। দুইদিনে কেজিদরে তরমুজ বিক্রেতা ২২ জনকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে কোন পন্য বিক্রি করার চেষ্টা যারা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইতিমধ্যে কেজিদরে তরমুজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলবে। পবিত্র মাহে রমজান ও করোনাকালে বাজার মনিটরিং আরো জোরদার করা হয়েছে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন