ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

‘দেশের সুনাম নষ্ট হলে দায় প্রতিটি নাগরিককে বহন করতে হয়’

‘দেশের সুনাম নষ্ট হলে দায় প্রতিটি নাগরিককে বহন করতে হয়’
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের মর্যাদা বা সম্মান বৃদ্ধি যেমন প্রতিটি নাগরিককে গৌরবান্বিত করে, তেমনি সুনাম নষ্ট হলে এর দায়ভার সকলের ওপর বর্তায়।


শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রেয়শন সেন্টার-ইআরসি আয়োজিত ১৮ তম প্রকৌশলী এম এ জব্বার স্মৃতি টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২১ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে যে পেশায় থাকি না কেন আমাদের বড় পরিচয় আমরা বাঙালি। আমার দেশ যত উন্নত, সমৃদ্ধ ও সম্মানিত হবে আমি ব্যক্তিগতভাবে সে সম্মানের অংশীদার হবো। পক্ষান্তরে আমার দেশ যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও কলঙ্কিত হয় কিংবা দেশের সুনাম নষ্ট হয় তাহলে এর অংশীদারও আমি হবো। আমরা এর দায়ভার এড়াতে পারি না’।

তিনি জানান, বাংলাদেশ এখন আর ফকির-মিসকিনের দেশ নয়, অবহেলা করার জাতি নয়। বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে আঙুল তুলে বা চোখ রাঙিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই। কেউ আঙুল বা চোখ রাঙিয়ে কথা বললে তার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। দেশ নিজস্ব ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। শেখ হাসিনার জন্য বাঙালি বিশ্বে নতুন পরিচয় লাভ করেছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। যার ফলে ক্রিকেট ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। যে ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের নাম ছিল না, সেই দেশ এখন ক্রিকেট পরাশক্তিদের অনায়াসে পরাজিত করছে।

 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য অর্থনৈতিক ও সেবাখাত, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য এবং তথ্য প্রযুক্তিকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন তেমনি খেলাধুলাতেও বিশেষ নজর দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল স্থান করে নিয়েছে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনো খাতকে অবহেলা করেননি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ এদেশের মানুষ। এই সম্পদ ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই।

অভিভাবকের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ছেলে মেয়েদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ হবে না। তাদেরকে আগামী দিনের মানব সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এজন্য খেলাধুলা, শারীরিক কসরতসহ মানসিক এবং সৃজনশীল চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে হবে। খেলাধুলা মানসিক বিকাশ ঘটায়। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিপ্লবের বিকল্প নেই।

ইআরসির নির্বাহী ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের বর্তমান সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদত হোসেন শীবলু প্রমুখ।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন