বিমানের টিকিটের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ‘কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত’


বেশকিছু দিন ধরেই বিমানের টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল যাত্রীদের। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।সোশ্যাল মিডিয়াও এ নিয়ে সমালোচনা ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদ সংবাদ সম্মেলন করে একই অভিযোগ তুলেছে। এর পেছনে জড়িতদের নাম প্রকাশ না করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, হজ এবং ওমরাহ মৌসুম এলেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ‘অনৈতিকভাবে’ বাড়ানো হয়। এর পেছনে বিমানের কয়েকজন ‘দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা জড়িত’।
অযৌক্তিক ভাড়া প্রত্যাহার করে এসব কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তসহ তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আবদুল্লাহ আল নাসের। তবে বিমানের টিকিটের দাম বাড়ানোর সঙ্গে কারা জড়িত, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্ট ‘সিন্ডিকেটের’ কারো নাম বলতেও রাজি হননি সভাপতি।
তিনি বলেন, ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে যাওয়া-আসার টিকিটের দাম মূলত ৬৭ হাজার টাকা। এখন ৮৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকায়ও বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বিমানের অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট প্রতি টিকিটে ২০ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। মাসে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করে যাত্রীদের পেটে লাথি মারছে ওই ‘সিন্ডিকেট’।
আবদুল্লাহ আল নাসের লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে বিমানে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০টি আসন খালি যাচ্ছে। এটা জাতীয় সম্পদের বিশাল অপচয়।
এইচকেআর
