আমতলীতে ক্যারাম খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যসহ আহত ১৪


বরগুনার আমতলীতে ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের কালু চৌকিদারবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে কালু চৌকিদার বাড়ির সামনে বসে যুব মীরা (১৪), আরাফাত (১৮), সাগর (২০) ও ওলিউল্লাহ চৌকিদার (১৭) ক্যারম খেলছিল। একপর্যায়ে ওলিউল্লাহ চৌকিদারের সঙ্গে অন্যদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রামদা, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এতে মীর আমির হামজা (৩০), মীর রফিকুল ইসলাম (৪০), মীর আলমাছ (৫০), মীর আ. মালেক (৫০), মীর নাসির (৬২), মীর আলামিন (৬২), মীর শামীম (৩৪), মীর মোস্তফা (১৪), মজনু চৌকিদার (৫০), মাহবুব চৌকিদার (৪০), হাসান চৌকিদার (২৫), আবুল বাশার চৌকিদার (৪৫), রিয়াজুল চৌকিদার (২৮) এবং সংরক্ষিত ইউপি সদস্য হেনা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাদের মধ্যে ১২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়।
চিকিৎসকরা জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে এবং কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুতর আহত মীর নাসির বলেন, ছেলেদের মধ্যে সামান্য ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কালু চৌকিদার বাড়ির ৮-১০ জন আমাদের ওপর রামদা, দা, লাঠি দিয়ে হামলা চালায় এবং আমাদের কুপিয়ে আহত করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
অন্যদিকে চৌকিদার বাড়ির মজনু চৌকিদার বলেন, প্রতিপক্ষের ১২-১৩ জন মিলে আমাদের ওপর দা-রামদা নিয়ে হামলা চালায়।
এরপর আমাদের একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে যাতে আমরা চিকিৎসা নিতে না পারি। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচকেআর
