ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • নির্বাচনে এমপি প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’, গ্রেফতার হাজারের বেশি আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে চাই, রাজনৈতিক বাধা আমাকে থামাতে পারবে না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশে দাঁড়িয়েই তার পদত্যাগ চাইলেন সাদিক কায়েম সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে হাদিকে বাড্ডায় ফের যাত্রীবাহী বাসে আগুন হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সই করা বিপুল সংখ্যক চেকসহ আটক ৩ পরিবারের সিদ্ধান্তে হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে হাদির ওপর হামলায় সন্দেহভাজন দুজনের পাসপোর্ট ব্লক, আটক ৩ ভোটের মাঠে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা ইসির, কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ
  • নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে

    আজ মাছ শিকারে নামবেন ভোলার জেলেরা

     আজ মাছ শিকারে নামবেন ভোলার জেলেরা
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    দেশে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গতর মার্চ-এপ্রিল দুই মাসব্যাপী দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো। আজ ৩০ এপ্রিল শুক্রবার নিষেধাজ্ঞারমেয়াদ শেষ হচ্ছে ।

    জেলেরা দুই মাস তাদের নৌকা মেরামত আর জাল বোনাসহ অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করেছেন। এখন জোরে-শোরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাছ শিকারে নামার।


    শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবেন জেলেরা। তবে তাদের দাবি বেশিরভাগ জেলেই সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ শিকার থেকে বিরত থেকেছে কিন্তু বিনিময়ে কোন প্রণোদনা পায়নি। বরং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে ব্যর্থ করে দিয়েছে অভয়াশ্রমে মাছ রক্ষার এই কর্মসূচি।

    ইলিশ এবং অন্যান্য মাছ যাতে অবাধে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকার মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অন্য অভয়াশ্রমের মতো ভোলার তেতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তমের ১ শত কিলোমিটার এবং মেঘনার ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি অভয়াশ্রম সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। এখন উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ শিকারে নামতে ব্যস্ত জেলেরা।

    ভোলা জেলায় মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার। তবে নিবন্ধনে বাইরে রয়েছে আরও অন্তত দুই লাখ জেলে। এদের অধিকাংশই নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ শিকারে নামেনি। জেলেদের দাবি মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য তারা কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা পাননি। বরং প্রভাবশালী নেতা এবং প্রশাসনের ছত্রছায়ায় একশ্রেণীর অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা চাপলি নামে পরিচিত কোটি কোটি ইলিশের বাচ্চা ধ্বংস করে ফেলেছেন।

    জেলে রফিক জানান, অভিযানের এই দুই মাস তারা অনেক কষ্টের ছিলো। এখন অভিযান শেষ হয়েছে নদীতে যাওয়ার জন্য তারা একদম প্রস্তুত। 

    জেলে শাহীন বলেন, আমরা যারা ছোট জেলে আছি তারাই অভিযানের দুই মাস ধরেনি কিন্তু যারা বড় বড় জেলে ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা অবৈধ জাল দিয়ে ছোট ছোট সব মাছ নষ্ট করছে। এমনকি অভিযানের সময় আমরা কোনো সহযোগিতাও পাইনি।

    ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল জানান, অভিযানের সময় যেসব জেলে আইন অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার জন্য নামে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয় হয়েছে। ১ শত ৬৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, ৩ শত ৫০ জন জেলেকে আর্থিক জরিমানা ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল আটক এবং ধ্বংস করেছেন। তাই নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।


    টিএইচএ/আকিব
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ