ইতিহাসের এই দিনে : সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর

প্রথমে সাদ্দাম হোসেন জেনারেল আহমেদ হাসান আল বকরের উপ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আর সে সময় সাদ্দাম দৃঃঢ়ও ভাবে সরকার এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যকার বিরোধের অবসান ঘটিয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীও গঠন করেন। ইরাকের রাষ্ট্রপতি ও বাথ পার্টির প্রধান হিসেবে সাদ্দাম হোসেন আরব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং আধুনিক ইরাক গড়ে তুলতে প্রয়াস নেন।
সাদ্দাম এক দলীয় শাসন কায়েম করেন। সেইসময়ই সাদ্দাম হোসেন ইরানের সাথে ৯ বছরের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পযন্ত। ইরাক ও ইরান যুদ্ধের পরে ১৯৯১ সালে আস্তে আস্তে সাদ্দাম হোসেন উপসাগরীয় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। সাদ্দাম হোসেন তার মতে ইরাকের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধের সকল পক্ষকে নির্মূল করার উদ্যোগ নেন। সেই বিরুদ্ধ পক্ষে ছিল উপজাতীয় এবং ধর্মীয় গোত্র গুলো যারা স্বাধীনতা দাবি করছিলেন।
তাদের মধ্যে যেমনঃ ইরাকি শিয়া মুসলমান, কুর্দি, ইরাকি তুর্কি জনগণ। ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে কতিপয় আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে। তারা এই যুক্তি দেখিয়ে আক্রমণ করে যে সাদ্দাম হোসেন ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছে যদিও যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে আসলে সেরকম কোন অস্ত্রের হদিসও পাওয়া যায়নি।
২০০৩ সালের ১৩ই ডিসেম্বর সাদ্দাম হোসেন আমেরিকান সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তিতে আমেরিকা ইরাকি সরকারের হাতে সাদ্দাম হোসেনের বিচার করায়। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ছিল মানবতার অপরাধ। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ইরাকি সময় সকাল ৬.০৬ মিনিটে ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
এমবি