ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

Motobad news

আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস আজ

আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস আজ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন


প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে বিভিন্ন দেশেই কিছু দিবস পালিত হয়। এই নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সব দিবস পালিত হয়। সেই সব দিবসগুলোর মধ্যে একটি হলো আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস। 

প্রতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে সারা বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস দিনটি পালন করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে বিশ্বে এ বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস’ পালিত হচ্ছে। ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাইখ ও ভ্যাটিকানের পোপ ফ্রান্সিস বিশ্ব শান্তি ও সহাবস্থানের জন্য মানব ভ্রাতৃত্বের নথিতে স্বাক্ষর করেন। 
 
আল-আজহারের শাইখ ও ভ্যাটিকানের পোপের স্বাক্ষরযুক্ত ঐ নথিকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমতি দেয় জাতিসংঘ। সাধারণ পরিষদ ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর এ দিবস পালনের অনুমোদন দেয়। সে হিসেবে ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির থেকে পুরো বিশ্ব এই দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।  

সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর ও সৌদি আরব এই উদ্যোগের সূচনা করলেও এখন তা পালন করবে সারাবিশ্ব। রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি লানা জাকি নুসাইবেহ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বে সহিংসতা, ঘৃণ্য বক্তব্য, ইসলামোফোবিয়া, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও বৈষম্য নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের হুমকির মুখে আমাদের এমন উদ্যোগকে সমর্থন করতে হবে, যা মানব ভ্রাতৃত্বের চেতনায় মানুষের মধ্যে সংহতি ও ঐক্যকে উত্সাহিত করে। 

আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন ও মিসর এই উদ্যোগের মাধ্যমে অন্যান্য ধর্মের মানুষের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও ভালোবাসার মূল্যবোধকে প্রমাণ করেছে।  আয়োজক কমিটির (এইচসিএইচএফ) সেক্রেটারি জেনারেল ও বিচারক মুহাম্মদ আবদুস সালাম ৪ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস হিসেবে জাতিসংঘের প্রস্তাব গৃহীত করাকে এইচসিএইচএফের বড় অর্জন হিসেবে মনে করেন। পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি ও সহাবস্থানের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ঐতিহাসিক দলিল হিসেবেও এ দিবসটি বিবেচিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

জাতিসংঘের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ধর্মীয় বিদ্বেষকে সমর্থন করে ও সহনশীলতার মনোভাবকে ক্ষুণ্ণ করে- এমন সব কাজের জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। বিশেষত করোনা মহামারিতে বিধ্বস্ত ও সংকটের মুখোমুখি বিশ্বে এই ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হওয়া অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস উদযাপন গভীর অর্থবহ। এর প্রধানতম উদ্দেশ্য হলো- আন্তর্জাতিক সহিষ্ণুতা গড়ে তোলা ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। ধর্মান্ধতা, সহিংসতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণাসূচক বক্তব্য পরিহার করে বিশ্বের সব মানুষকে একটি মুক্ত পরিবেশের দিকে আহ্বান করা। বিশেষত মহামারির সময়ে শরণার্থী ও সেসব দরিদ্র দেশের পাশে দাঁড়ানো, যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের মৌলিক প্রয়োজন সরবরাহ করতে অক্ষম।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন