রাশিয়া-ইউক্রেনের সামরিক মহড়া নিয়ে যা জানা প্রয়োজন

পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া বেলারুশে ১০ দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ইউক্রেনও রাশিয়ার দেখাদেখি সামরিক মহড়া শুরু করেছে। দুই দেশের সামরিক মহড়া নিয়ে যে তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন–
মস্কো বলছে, বহিঃশক্তি দমন এবং প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে তাদের এই মহড়া।
মহড়ায় ৩০ হাজার সেনা সদস্য অংশ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও রাশিয়া প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
রাশিয়া বলছে, মহড়া শেষে তাদের সেনারা বেলারুশ ত্যাগ করবে।
মস্কো-মিনস্কের যৌথ মহড়াকে ইউক্রেন, মানসিক চাপ বলে অভিহিত করেছে।
রাশিয়ার হুমকি মোকাবেলায় ইউক্রেন যে মহড়া শুরু করেছে তাতে, তুরস্কের তৈরি বায়ারআকতার ড্রোন, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী জ্যাভেলিন এবং এনএলএডব্লিউ মিসাইল ব্যবহার করছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া ‘সিরিয়াস’, এটা দেখানোর জন্যই মস্কো সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে।
মহড়ার পাশাপাশি রাশিয়া ভূপৃষ্ঠ থেকে আকাশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং ১২টি সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করে রেখেছে।
প্রতিবেশী ন্যাটো দেশ থেকে আক্রমণ আসলে কিভাবে প্রতিহত করা হবে রাশিয়ার মহড়ায় আকাশশক্তি ও স্থলশক্তির মাধ্যমে সেটা ফোকাস করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট সতর্ক করেছে— সত্যিকারের হামলার জন্য অথবা মিনস্ক থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য রাশিয়া এই মহড়ার ধুম্রজাল সৃষ্টি করতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশের এই সামরিক মহড়া থেকে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ সম্ভাবনা কম। তবে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেনের যেকোনো ভুল পদক্ষেপ যুদ্ধ ডেকে আনতে পারে।
সূত্র: আল জাজিরা
এইচকেআর