৩ টাকার গোলাপ ২৫ টাকা

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ফুলের বাজার বসন্তের প্রথম দিন থেকেই চাঙা হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে কালিয়াকৈর বাজার, সফিপুর বাজার, চন্দ্রাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ফুলের দোকানগুলো ছিল জমজমাট।
কালিয়াকৈরে বাজারে ফুলের দোকানগুলোতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ৩ টাকার লাল গোলাপের দাম এক লাফে ১৫ থেকে ২৫ টাকা উঠে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালোবাসা দিবস সব ধরনের ফুলের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। করোনার কারণে বেড়েছে পরিবহন খরচও। এতে করে দুই দিন আগের ৩ টাকার গোলাপ এক লাফে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা। ১৫ টাকা দামের জারবেরা ৩০ টাকায় উঠেছে।
সকালে কালিয়াকৈরে ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের বেশির ভাগই বয়েসে তরুণ-তরুণী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। দেখা মিলেছে নবদম্পতিদেরও। ৩ টাকার লাল গোলাপের দাম দোকানিরা ২৫ টাকা হাঁকানোয় কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান,কালিয়াকৈর বাজারে ৭ থেকে ১০টি স্থায়ী দোকান রয়েছে। অস্থায়ী দোকান রয়েছে ১০টিরও বেশি। কিন্তু টানা করোনাভাইরাসের কারণে পণ্য পরিবহন ভেঙে পড়ায় এবং বাজারে ক্রেতা না থাকায় করোনার পর থেকেই ফুল ব্যবসায় মন্দা। তবে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে ব্যবসায় এই মন্দাভাব কেটে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্য সময়ে চায়না জাতের প্রতিটি লাল গোলাপ ৩ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেই গোলাপের দাম ১৫ থেকে ২৫ টাকা। ৫ টাকার লাল ও সাদাগুচ্ছ ১৫ টাকা। জারবেরা এখন ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লাল গোলাপ।
ফুল কিনতে আসা কলেজছাত্রী আয়েশা গনমাধ্যমকে বলেন, ভালোবাসা দিবসে বন্ধুকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুল কিনতে এসেছি। প্রত্যেক ফুল তিনটি করে কেনার ইচ্ছে ছিল। এখন দাম শুনে একটা করে কিনেছি।
লাল গোলাপ কিনতে আসা রবিন বলেন, ভালোবাসার লাল গোলাপ কিনতে এসে দাম শুনে বুকের ভেতরে কাঁটা বিধার মতো অবস্থা। ৮০ টাকা হলে একগুচ্ছ ফুল উপহার দেওয়া যেত। এখন সেখানে ১৫০ টাকা দিয়েও হচ্ছে না।
ফুলঘরের রাকিব বলেন, করোনার দিনে ৩০০টি লাল গোলাপও বিক্রি হয়নি। অথচ এই দিনে গড়ে এক হাজারেও বেশি ফুল বিক্রি করেছি।
এইচকেআর