মোংলায় ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে হামলা

বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব খাঁন এর বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ছাত্রলীগ নেতার পরিবার ভয়ে ও আতঙ্কে দিন পার করছে। গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক রাত ১১:৩০ মিঃ দিকে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামে ছাত্রলীগ নেতার নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
এতে মোঃ সজিব খাঁন নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ১০ জনসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে অভিযুক্ত করে মোংলা থানা ও মোংলা সার্কেল'র সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় ছাত্রলীগ নেতার নিজ বাড়িতে এসে আসামীদয় ছাত্রলীগ নেতা বাড়িতে না থাকায় ১ম বার অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি দিয়ে যায়, একই রাতে ২য় বার আনুমানিক রাত ১১.৩০ মিনিটে অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার নিজ বাড়িতে হামলাসহ ভাংচুর করে এবং তার ঘেরের মাছ ধরাসহ ঘেরের মালামাল নিতে গেলে ঘেরের পাহারাদারকে খুটির সাথে বেধে রেখে পাহারাদারের পকেটে থাকা নিজ বেতনের ৮হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এতে প্রায় ২লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সজিব খাঁন।
এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করলে ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণেরও হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।
এর আগে গত সোম ও বুধবার (১৪ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি) একই অভিযুক্তরা সুন্দরবন ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নুর জাহান (৫৫) এর বাড়িতে হৈ হুল্লা করে। ইউপি সদস্য নুর জাহান ডাক নিলে তার মা-বোন তুলিয়া অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ও বিভিন্ন রকম হুমকি দেয়। এতে ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম ও তার পুত্রবধু সব সময় আতঙ্কের মধ্যে আছেন। যেহেতু ইউপি সদস্য ও তার পুত্রবধু অধিকাংশ সময়ই বাড়িতে একা থাকেন। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগমও মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে রফিক মোছাল্লীর নামে আরও বেশ কয়েকটি মাছের ঘের দখল ও চাঁদাবাজীর কারণে থানায় একাধিক অভিযোগ হয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত রফিক মোছাল্লী বলেন, আপনারা নিউজ করেন, নিউজ করলে ফাঁসি হবে? বলেই ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে মোংলা সার্কেল'র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, আমাকে ও থানাতে অভিযোগ দিছে, থানা থেকে অফিসারের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। তদন্ত পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলী আজীম/ মোংলা
এইচকেআর