আফগানিস্তানে আইএস ‘হুমকি’ নয়

আফগানিস্তানের জন্য নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস কোনো হুমকি নয় বলে দাবি করেছেন তালেবানের গোয়েন্দাপ্রধান ড. বশির। আইএস সদস্যরা অবাধে চলাফেরা করছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ড. বশির বলেন, আফগানিস্তানে আইএস সক্রিয় নেই।
ড. বশির বলেন, শুধু নানগরহর প্রদেশ নয়, পুরো আফগানিস্তানেই কোনো আইএস নেই। তিনি আরও বলেন, দায়েশ নামে যে গ্রুপটির কথা বলা হচ্ছে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্লেষণাত্মক ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের ২৯তম প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের অধীনে গত জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি করা হয়। ওই প্রতিবেদনে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য আফগানিস্তান একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রদেশ (আইএস-কেপি) গত বছরের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইএস-কেপি ক্ষমতাচ্যুত দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মার্কিন-সমর্থিত সরকারের পাশাপাশি তালেবানেরও বিরোধী।
যদিও গোষ্ঠীটি দেশের শুধু একটি ছোট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। বলা হচ্ছে, সম্প্রতি ওই সংগঠনটির হামলার ঘটনা আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে।
ড. বশির বলেন, আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্য রয়েছে এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকজন এখানে বসবাস করেন। তিনি দাবি করেন, তালেবান সরকারের অধীনে আফগানিস্তান ৯৫ শতাংশ নিরাপদ।
দারিদ্র্যের কারণে চুরি করা বা মানুষের ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এমইউআর