‘মার্কেট বন্ধ থাকাতেই নীলক্ষেতের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে’


রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার। আর বন্ধের দিন হওয়ার কারণে নীলক্ষেতে বইয়ের মার্কেটে লাগা আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুস্তক ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল সরকারি ছুটির দিন। এর পরের দিন মঙ্গলবার হওয়ায় নিউমার্কেট এলাকা বন্ধ ছিল। যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিন না থাকত, তাহলে দোকানিরা মার্কেটে থাকতেন এবং আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে নেভানোর চেষ্টা করতেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মার্কেট থাকলে দোকানের মালমাল বের করাও সম্ভব হতো।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রায় ৯০ শতাংশ বই ব্যবসায়ী বাসায় ছিলেন। তাই অধিকাংশ দোকানের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ দোকানিরা আগুনের খবর পেয়ে মার্কেটে এসে দেখেন দোকানের সবই পুড়ে গেছে। অনেক দোকানে ছাই ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। বন্ধের দিন হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
সুলতানা বই বিতানের মো. আলম বলেন, আমাদের দোকানে প্রচুর বই ছিল। একটাও বই বের করতে পারিনি। সবই পুড়ে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখন কী হবে জানি না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ থেকে ৪০টি বইয়ের দোকান। অধিকাংশ দোকানেরই বই আগুনে পুড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
নীলক্ষেত পুস্তক মালিক সমিতির একজন সদস্য জানান, নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে প্রায় কয়েক কোটি টাকার বই। অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা করে নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে বলা সম্ভব নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নীলক্ষেত-নিউমার্কেট মোড়ে একটি দোকানে প্রথম আগুন লাগে। পরে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। আগুন লাগার পর নিউমার্কেট-নীলক্ষেতমুখী সব রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তার পাশাপাশি উৎসুক জনতারও ভিড় বাড়ে। এতে ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হয়।
এসএম
