এবার কিলার ড্রোন পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় রুশ বাহিনীকে থামাতে পশ্চিমা বিশ্বের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পরও চলমান রয়েছে হামলা। এ অবস্থায় ইউক্রেনকে সাহায্য করতে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় এবার কিয়েভকে ১০০টি কিলার ড্রোন দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ অবস্থায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এবার এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে শতাধিক কিলার ড্রোন দেবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, ইউক্রেনকে ‘সুইচব্লেড থ্রি হান্ড্রেড’ নামের ১০০টি অস্ত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এগুলো কিলার ড্রোন নামেই পরিচিত। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, শক্রপক্ষকে শনাক্ত করে তাদের ওপর নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম এই ড্রোন।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রুশ হামলা প্রতিরোধে কিয়েভকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও সামরিক সহায়তা চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই ভাষণের পরই ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ বিভিন্ন যুদ্ধসরঞ্জাম সরবরাহের ঘোষণা দেন বাইডেন।
এক প্রতিবেদনে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার (১৬ মার্চ) মার্কিন কংগ্রেসে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন জেলেনস্কি। চলমান যুদ্ধে কিয়েভের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে, মার্কিন সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বাইডেন বলেন, আমাদের মিত্র দেশগুলোকে ইউক্রেনে তাদের দেওয়া সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের সহযোগিতা চালিয়ে যাব। ইউক্রেনে মর্মান্তিক ও অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের অবসানে সব চেষ্টা করে অব্যাহত থাকবে।
সামরিক সহায়তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে। আরও রয়েছে, ভূমি থেকে আকাশে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র, দুই কোটি রাউন্ড গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী অস্ত্রব্যবস্থা। এ ছাড়া ড্রোন, রাইফেল, পিস্তল, মেশিনগান, শটগান, রকেট ও গ্রেনেড লাঞ্চারও রয়েছে এই তালিকায়।
এমইউআর