জি-২০’তে পুতিনের পক্ষে চীন
চলতি বছরের শেষে ইন্দোনেশিয়ায় পরবর্তী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন রুশে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে চীনের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট নিজেও সম্মেলনটিতে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বুধবার (২৩ মার্চ) ইন্দোনেশিয়ায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত লুডমিলা ভোরোবিভা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘এটি কোভিড পরিস্থিতি সহ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করবে, যা আরও ভাল হচ্ছে। এখন পর্যন্ত, তার উদ্দেশ্য হল... তিনি চান।’’
জি-২০’তে রাশিয়ার অংশগ্রহণে আপত্তির বিষয়ে লুডমিলা ভোরোবিভা বলেন, ‘‘অবশ্যই এই ধরনের ফোরাম থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করা অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করবে না। বিপরীতে, রাশিয়া ছাড়া এটি করা কঠিন হবে।’’
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালিতে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনটিতে রাশিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে আপত্তি জানায় একাধিক সদস্য দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা প্রস্তাব করে রাশিয়াকে জি-২০ গ্রুপ থেকে নিষিদ্ধের। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি যে এটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে রাশিয়ার জন্য স্বাভাবিক ব্যবসা হতে পারে না।’’
সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ‘‘কোন সদস্যের অন্য দেশকে সদস্য হিসাবে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই। জি-২০ এর বাস্তব বহুপাক্ষিকতা বাস্তবায়ন করা উচিত, ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করা উচিত।’’
জি-২০’তে রাশিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে চিন্তিত নয় ইউরোপীয় একাধিক দেশগুলো। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ বলেছেন, ‘‘সদস্যদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তবে সমস্যাটি এখন অগ্রাধিকার নয়।’’
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষেরই বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় মস্কোর ওপর বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা।
জাতিসংঘ বলছে, ইউক্রেন থেকে অন্তত এক কোটি মানুষ জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এছাড়া ইউক্রেনে আটকা পড়া লাখ লাখ মানুষের সাহায্য প্রয়োজন।
সূত্র: রয়টার্স
এসএম