বিএনপি নেতা ফালু পলাতক, পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ


প্রায় ১৮৪ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচারের মামলায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুকে পলাতক দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ নির্দেশ দেন। এছাড়া এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করেন আদালত। আদালতের দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে জানিয়েছেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামি ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় আদালত পুনরায় তার বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সেইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে পুলিশ তাকে খুজে না পাওয়ায় গতকাল পত্রিকা পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত এ মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে ফালুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এদিকে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়র প্রধান আসামি ফালুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অপর দুই আসামি হলেন- আরএকে সিরামিকস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান ও স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লি. এর পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান। তবে স্টার সিরামিকস প্রাইভেট লি. এর পরিচালক আমির হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
জানা গেছে, অফশোর কোম্পানি খুলে ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচারের অভিযোগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- মোসাদ্দেক আলী ফালু, একরামুজ্জামান, আনোয়ারুজ্জামান ও আমির হোসাইন ২০১০ সালে দুবাইয়ে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং থ্রি স্টার লিমিটেড নামে অফশোর কোম্পানি খোলেন। পরে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতির মাধ্যমে’ অর্জিত ১৮৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ওই অর্থ উর্পাজনের কোনো উৎস তারা দেখাতে পারেননি। ওই অর্থ কীভাবে উপার্জন করা হয়েছে তার কোনো তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে নেই। দুবাইয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করার কথা তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে কখনও জানাননি বা কোনো ধরনের অনুমতি নেননি। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশে বিএনপি দল ক্ষমতার থাকাকালে মোসাদ্দেক আলী ফালু ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে অফসোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন।
এসএম
