ন্যাটো আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ
ইউক্রেন আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যাপকভাবে জোরদার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ন্যাটো, জি৭ এবং ইইউ নেতারা ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তাদের কণ্ঠে ছিল অভূতপূর্ব ঐক্যের সুর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ন্যাটো জোট আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যা আশা করেছিলেন, এটা সম্পূর্ণ তার বিপরীত বলেও মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তিনি এ ঐক্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান যাতে মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক কিংবা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করে, যুক্তরাষ্ট্র তাহলে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।
রাশিয়ার পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্রের হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষার আশ্বাস দিয়েছে ন্যাটো। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সবাই রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ব্রাসেলসে জরুরি ওই সম্মেলনে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ায় চারটি নতুন সৈন্যদল পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার ন্যাটো নিশ্চিত করেছে যে মোট ৪০ হাজার সেনার চারটি নতুন ‘ব্যাটেল গ্রুপ’ স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়াতে পাঠানো হবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলফ শোলজ এবং ইইউ প্রধান ফন ডের লেয়েন বলেছেন, রাশিয়ার দাবি মতো সে দেশের জ্বালানির জন্য অর্থ পরিশোধ রুশ মুদ্রা রুবলে করা হবে না। তারা বলেন, ‘জ্বালানি নিয়ে রাশিয়ার ব্ল্যাকমেইলের দিন শেষ। ’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেনের চলতি সংঘাতে ‘অবশ্যই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে ‘। সতর্ক করে তিনি বলেন, পুতিন শান্তির পথে যেতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ বলেছেন, রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ করেছিল তার চেয়েও দুর্বল অবস্থায় যুদ্ধ শেষ করবে।
এমইউআর