মনপুরায় জরিমানার পরও ব্যবসায়ীরা মানছেনা সরকারী নির্দেশনা


ভোলার মনপুরায় ব্যবসায়ীদের জরিমানার পরও কমছেনা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম। কোন ব্যবসায়ী মানছেনা সরকারি নির্দেশনা। কোন দোকানে নেই দ্রব্যমূল্যের বিক্রির তালিকা। যে যার মত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হাঁকিয়ে ভোক্তা থেকে নিচ্ছেন অতিরিক্ত মূল্য। এতে বিপাকে পড়ে উপকূলের নিন্ম আয়ের মানুষগুলো বেশি দাম দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করে সংসার চালাতে পারছেনা।
এদিকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে উপকূলের ২০ হাজার জেলে পরিবার। মেঘনায় মাছ শিকার বন্ধ থাকায় চড়া সুদে ঋণ নিয়েও সংসারে ব্যয় মিটাতে পারছেনা। অতিরিক্ত দাম দিয়ে প্রতিদিন সংসার চালাতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে ঋণের টাকা। অনেকে সংসার চালাতে না পেরে পাড়ি জমাচ্ছে ঢাকা-চট্রগাম সহ বিভাগীয় শহরে।
এদিকে শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা উপজেলা সদরে হাজীরহাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় দ্রব্য মূল্যের তালিকা না থাকায় সর্তকসহ ৫ মুদি ব্যবসায়ীকে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও।
এদের মধ্যে মুদি ব্যবসায়ী বেলায়াত মিয়াকে ১ হাজার, মুদি ব্যবসায়ী হাজী কালামকে ১ হাজার, মুদি ও তরকারি ব্যবসায়ী আবদুল হককে ৫ শত টাকা, মুদি ও তরকারি ব্যবসায়ী নুরনবীকে ৫ শত টাকা এবং মুদি ও তরকারি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনকে ৫ শত টাকা জরিমানা
উপকূলের হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভোজ্য তেলের দাম কমেনি। সরকারি রেটে খোলা পাম অয়েল লিটার প্রতি ১৩০ টাকা করে কিনে বিক্রি করছে ১৭০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা, ময়দা ৫৫ টাকায়। মোটা চাউল ৫০-৬০ টাকা, চিকন চাউল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শসা ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই ব্যাপারে মৎস্য জীবি সমিতিরি সভাপতি আবুল কাশেম ও মনপুরা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন জানান, মনপুরার মুদি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করছে। কেউ সরকারি নির্দেশনা মানছেনা। সরকার ভোজ্য তেলের দাম কমালেও এর প্রভাব উপকূলে পড়েনি। প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং না করলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বে জেলে পরিবারগুলো।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা জানান, বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে ও সরকারী নির্দেশনা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ৫ মুদি ব্যবসায়ীকে সর্তকসহ জরিমানা করা হয়েছে। এই কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলবে।
এইচকেআর
