ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • চন্দ্রমোহন বিএনপির বহিস্কৃত নেতার সরকারি জমি দখল, আটকে দিলো প্রশাসন চেয়ারম্যান ও তার আত্মীয়র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা দলীয় লোক অপসারণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি বিএনপির বাড়িভাড়া বাড়ানোয় ‘সন্তুষ্ট’ শিক্ষকরা, আন্দোলন স্থগিত বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা, খোলা থাকবে শনিবারও সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন নির্ধারণে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নাজিরপুরের সভাপতি ভাইসহ ঢাকায় গ্রেফতার শিয়ালবাড়ী অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলীর দাফন আমতলীতে সম্পন্ন বামরাইলে ব্রিজে ভয়াবহ ফাটল, পরিদর্শন করলেন ইউএনও
  • আজ ২৭ম তারাবি: কোরআনের পঠিত আয়াতের বিষয়বস্তু ও বাংলা অর্থ

    আজ ২৭ম তারাবি: কোরআনের পঠিত আয়াতের বিষয়বস্তু ও বাংলা অর্থ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    আজ ২৭তম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ অংশ ৩০তম পারা তেলাওয়াত করা হবে। এর মাধ্যমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনুল কারিমের খতম বা শেষ হবে আজ। ইনশাআল্লাহ!
    পবিত্র মাহে রমজানের ২৬তম দিন আজ। সে হিসেবে আজকে ২৭তম তারাবি পড়ানো হবে। এশার ফরজ নামাজের পর এ তারাবির নামাজ আদায় করা হবে।


     
    তারাবির নামাজে পূর্ণ এক খতম কোরআন শরিফ তেলাওয়াত শোনার লক্ষ্যে অনেকেই খতমে তারাবিতে অংশ নেন। আর তাই পাঠকদের জন্য রমজানের বিশেষ আয়োজনে প্রতিদিন খতমে তারাবিতে পাঠকৃত কোরআনের অংশসমূহের উল্লেখযোগ্য বিষয়বস্তু, বিধান, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও তরজমা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।

    আজ ২৭তম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের সর্বশেষ অংশ ৩০তম পারা তেলাওয়াত করা হবে। এর মাধ্যমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনুল কারিমের খতম বা শেষ হবে আজ। ইনশাআল্লাহ!

    ত্রিশ পারায় প্রথম সূরা নাবার প্রথম শব্দ ‘আম্মা’ থাকায় মুসলমানদের মাঝে এটি ‘আমপারা’ নামেও পরিচিত। আমপারায় ছোট ছোট মোট ৩৭টি সূরা রয়েছে। সবগুলো সূরাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমপারার অধিকাংশ সূরায় তাওহিদ, রিসালাত, আখেরাত, মৃত্যুপরবর্তী জীবন, হিসাবনিকাশ, কেয়ামত এবং জান্নাত-জাহান্নাম প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে।

    সূরা নাবায় (আয়াত ১-৪০) অপরাধীদের পরিণাম প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে। দুনিয়ার সবকিছুই মানুষের সুখের জন্য এ কথাও বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন কাফেরদের হাহাকার ও আফসোসের বর্ণনার মাধ্যমে সূরাটি সমাপ্ত হয়েছে।

    সূরা আবাসায় (আয়াত ১-৪২) অন্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ বিন উম্মে মাকতুম (রা.) এর একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহর একত্ববাদের বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। কেয়ামতের দিন কেউ কারো উপকারে আসবে না মর্মে আলোচনার মাধ্যমে সূরাটি সমাপ্ত হয়েছে।

    সূরা তাকভিরে (আয়াত ১-২৯) কেয়ামতকালীন যে পরিবর্তনগুলো ঘটবে, সে বিবরণ রয়েছে। সূরার শেষভাগে কোরআন এবং নবীজির নবুয়তের সত্যতার বিবরণ রয়েছে।

    সূরা ইনফিতারে (আয়াত ১-১৯) বড় মহব্বতের সঙ্গে মানুষের প্রতি অনুযোগ করে কিছু কথা বলা হয়েছে। ‘কিরামান-কাতিবিন’ শ্রদ্ধেয় আমল লিপিকররা আমাদের সব আমল লিখে রাখছেন মর্মেও সূরায় আলোচনা রয়েছে।

    সূরা মুতাফফিফিনে (আয়াত ১-৩৬) যারা মাপে কম দেয়; কিন্তু অন্যের কাছ থেকে নেয়ার সময় পুরোপুরি নেয় তাদের সম্পর্কে নিন্দা রয়েছে। তাছাড়া দুর্ভাগা-দুরাত্মা এবং সৌভাগ্যশীল-পুণ্যাত্মাদের পরিণতিও শোনানো হয়েছে সূরায়। 

    সূরা ইনশিকাকে (আয়াত ১-২৫) কেয়ামতের দিন মানুষ তার যাবতীয় কৃতকর্মের ফল পাবে মর্মে আলোচনা রয়েছে। সে দিন সে হবে ভাগ্যবান, যার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে।

    সূরা বুরুজে (আয়াত ১-২২) ‘আসহাবুল উখদুদ’ তথা পরিখা খননকারীদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। যারা ঈমানদারদের প্রতি নির্যাতন করে ঘটনাটিতে তাদের জন্যও অনেক সবক রয়েছে। কোরআনের মাহাত্ম্য ও বড়ত্বের বিবরণ দিয়ে সূরাটি শেষ হয়েছে।

    সূরা তারিকে (আয়াত ১-১৭) বলা হয়েছে, আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেকের জন্য তত্তাবধায়ক ফেরেশতা নিযুক্ত রয়েছে। মানুষকে তার সৃষ্টির মূল উপাদান সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করতে বলা হয়েছে। কাফেরদের ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সূরাটির সমাপ্ত হয়েছে।

    সূরা আলায় (আয়াত ১-১৯) রবের তাসবিহের হুকুম দেয়া হয়েছে। কোরআনের মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ দিতে বলা হয়েছে। উত্তম তো সে, যে নিজের সংশোধন করে।

    সূরা গাশিয়ায় (আয়াত ১-২৬) কেয়ামতের বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে। আল্লাহকে চেনার জন্য সৃষ্টির বিভিন্ন জিনিসের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে বলা হয়েছে।

    সূরা ফাজরে (আয়াত ১-৩০) ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন জাতির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের অকৃতজ্ঞ অবস্থার কথা বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন মানুষ যে দুই দলে বিভক্ত হবে সেই দুই দলেরও বর্ণনা রয়েছে সূরায়।

    সূরা বালাদে (আয়াত ১-২০) বলা হয়েছে, দুঃখকষ্ট মানুষের জীবন সাথি। এরপর অহংকারী কাফেরদের কেয়ামতের ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। সেদিন ঈমান ও নেক আমল ছাড়া অন্য কিছু কাজে আসবে না।

    সূরা শামসে (আয়াত ১-১৫) মানুষকে নেক কাজের উৎসাহ প্রদান এবং অন্যায়, অসৎ ও গোনাহের কাজের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও সতর্ক করা হয়েছে। মানুষ যদি তাকওয়া অবলম্বন করে তবেই সে সফল।

    সূরা লাইলে (আয়াত ১-২১) মানুষের আমল যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন; তাই ফলাফলও হবে বিভিন্ন ধরনের মর্মে সূরায় আলোচনা রয়েছে।

    সূরা জুহায় (আয়াত ১-১১) নবীজির প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নেয়ামতের কথা বলা হয়েছে। 

    সূরা ইনশেরাহে (আয়াত ১-৮) নবীজি (সা.) এর ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর মাকামের বিবরণ রয়েছে। 

    সূরা ত্বিনে (আয়াত ১-৮) বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে খুব সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের কর্তব্য হলো সর্বদা স্রষ্টার অনুগত হয়ে থাকা মর্মে সূরায় আলোচনা রয়েছে।

    সূরা আলাকের (আয়াত ১-১৯) সূচনা হয়েছে পড়ার নির্দেশের মাধ্যমে। তাছাড়া বলা হয়েছে, ধনদৌলতের কারণে মানুষ আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করে। নবীজির নামাজ-ইবাদতে বাধা দিত, এমন এক কাফেরের সমালোচনাও রয়েছে সূরায়।

    সূরা কদরে (আয়াত ১-৫) লাইলাতুল কদরের ফজিলত এবং এ রাতে কোরআন নাজিল প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে।
     
    সূরা বাইয়িনায় (আয়াত ১-৮) নবী মুহাম্মাদের রিসালাত ও নবুয়তের ব্যাপারে কিতাবিদের অবস্থান প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে। দ্বীনের বুনিয়াদ তথা ইখলাস বিষয়েও বলা হয়েছে। সূরার শেষে ভাগ্যবান-হতভাগা এবং মোমিন-কাফেরের পরিণতি বয়ান করা হয়েছে। 

    সূরা জিলজালে (আয়াত ১-৮) কেয়ামতের আগে সংঘটিত ভূকম্পের আলোচনা রয়েছে। ছোট-বড়, ভালো-মন্দ সবকিছুই মানুষ কেয়ামতের দিন দেখতে পাবে মর্মেও আলোচনা রয়েছে। 

    সূরা আদিয়াতে (আয়াত ১-১১) মানুষের অকৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। কেয়ামতের দিন মানুষের সব গোপন কিছু প্রকাশ পেয়ে যাবে মর্মে সূরায় আলোচনা রয়েছে।

    সূরা কারিআয় (আয়াত ১-১১) কেয়ামত দিনের অবস্থা এবং সে দিন মানুষের আমলের ওজন করা হবে প্রসঙ্গে আলোচনা রয়েছে।

    সূরা তাকাসুরে (আয়াত ১-৮) দুনিয়ার বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে মানুষের অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপের সমালোচনা করা হয়েছে।  

    সূরা আসরে (আয়াত ১-৩) সময়ের শপথ করে ঈমান-আমল ছাড়া সব মানুষই যে ক্ষতিগ্রস্ত, এ প্রসঙ্গটি খুব গুরুত্বসহ বলা হয়েছে।

    সূরা হুমাজায় (আয়াত ১-৯) কারো অগোচরে দোষ বলা, সামনাসামনি কারো বংশ কিংবা চেহারা-আকৃতির ব্যাপারে খোঁটা দেয়া, বিদ্রুপ করা এবং দুনিয়ার ভালোবাসা এ তিন ব্যাধির সমালোচনা করা হয়েছে এবং এসব অপরাধের কারণে জাহান্নামের আজাব ভোগের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। 

    সূরা ফিলে (আয়াত ১-৫) ‘আসহাবে ফিল’ তথা ‘হস্তিবাহিনীর’ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। কাবা শরিফ ভাঙতে এসে নিজেরাই ধ্বংস হয়েছিল হস্তিবাহিনী। 

    সূরা কোরাইশে (আয়াত ১-৪) নিরাপদে কোরাইশেরে শীত-গ্রীষ্মে ব্যবসার সফর এবং এ নেয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ ইবাদতের নির্দেশনা রয়েছে।

    সূরা মাউনে (আয়াত ১-৭) ঈমানদারদের কিছু গুণাগুণ এবং মোনাফেকদের কিছু দোষত্রুটি আলোচিত হয়েছে।

    সূরা কাউসারে (আয়াত ১-৩) নবীজিকে কাউসার প্রদান, নামাজ ও কোরবানির নির্দেশ এবং নবীজির শত্রুদের কোনো নামদাম থাকবে না মর্মে আলোচনা রয়েছে।

    সূরা কাফিরুনে (আয়াত ১-৬) ঈমানের সঙ্গে কুফুরের কোনো সংমিশ্রণ হতে পারে না মর্মে আলোচনা রয়েছে।

    সূরা নসরে (আয়াত ১-৩) নির্দেশনা রয়েছে যে, সাহায্য পেলে বা কোনো ক্ষেত্রে বিজয় লাভ করলে আল্লাহর তাসবি ও গুণকীর্তণ বেশি বেশি করে করতে হবে। 

    সূরা লাহাবে (আয়াত ১-৫) নবীজির চরম বিদ্বেষী শত্রু দুরাত্মা আবু লাহাব ও তার স্ত্রী উম্মে জামিলের পরিণতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

    সূরা ইখলাসে (আয়াত ১-৪) আল্লাহর পরিচয়-তাওহিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

    সূরা ফালাকে (আয়াত ১-৫) মানুষকে সৃষ্টির সবকিছুর অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

    সূরা নাসে (আয়াত ১-৬) মানুষ ও জিন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    আজকের পঠিতব্য আয়াত ও অর্থ

    সূরা আন-নাবা (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত:৪০)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    عَمَّ يَتَسَاءلُونَ
    তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? [ সূরা নাবা ৭৮:১ ]

    عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ
    মহা সংবাদ সম্পর্কে, [ সূরা নাবা ৭৮:২ ]

    الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ
    যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে। [ সূরা নাবা ৭৮:৩ ]

    كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
    না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে, [ সূরা নাবা ৭৮:৪ ]

    ثُمَّ كَلَّا سَيَعْلَمُونَ
    অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে। [ সূরা নাবা ৭৮:৫ ]

    أَلَمْ نَجْعَلِ الْأَرْضَ مِهَادًا
    আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা [ সূরা নাবা ৭৮:৬ ]

    وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا
    এবং পর্বতমালাকে পেরেক? [ সূরা নাবা ৭৮:৭ ]

    وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا
    আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, [ সূরা নাবা ৭৮:৮ ]

    وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
    তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, [ সূরা নাবা ৭৮:৯ ]

    وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا
    রাত্রিকে করেছি আবরণ। [ সূরা নাবা ৭৮:১০ ]

    وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا
    দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়, [ সূরা নাবা ৭৮:১১ ]

    وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا
    নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ। [ সূরা নাবা ৭৮:১২ ]

    وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا
    এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি। [ সূরা নাবা ৭৮:১৩ ]

    وَأَنزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاء ثَجَّاجًا
    আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি, [ সূরা নাবা ৭৮:১৪ ]

    لِنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا
    যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ। [ সূরা নাবা ৭৮:১৫ ]

    وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا
    ও পাতাঘন উদ্যান। [ সূরা নাবা ৭৮:১৬ ]

    إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا
    নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে। [ সূরা নাবা ৭৮:১৭ ]

    يَوْمَ يُنفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا
    যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে। [ সূরা নাবা ৭৮:১৮ ]

    وَفُتِحَتِ السَّمَاء فَكَانَتْ أَبْوَابًا
    আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে। [ সূরা নাবা ৭৮:১৯ ]

    وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا
    এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে। [ সূরা নাবা ৭৮:২০ ]

    إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا
    নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, [ সূরা নাবা ৭৮:২১ ]

    لِلْطَّاغِينَ مَآبًا
    সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে। [ সূরা নাবা ৭৮:২২ ]

    لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا
    তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। [ সূরা নাবা ৭৮:২৩ ]

    لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا
    তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না; [ সূরা নাবা ৭৮:২৪ ]

    إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا
    কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে। [ সূরা নাবা ৭৮:২৫ ]

    جَزَاء وِفَاقًا
    পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে। [ সূরা নাবা ৭৮:২৬ ]

    إِنَّهُمْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ حِسَابًا
    নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না। [ সূরা নাবা ৭৮:২৭ ]

    وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا
    এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত। [ সূরা নাবা ৭৮:২৮ ]

    وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا
    আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি। [ সূরা নাবা ৭৮:২৯ ]

    فَذُوقُوا فَلَن نَّزِيدَكُمْ إِلَّا عَذَابًا
    অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব। [ সূরা নাবা ৭৮:৩০ ]

    إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا
    পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য। [ সূরা নাবা ৭৮:৩১ ]

    حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا
    উদ্যান, আঙ্গুর, [ সূরা নাবা ৭৮:৩২ ]

    وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا
    সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৩ ]

    وَكَأْسًا دِهَاقًا
    এবং পূর্ণ পানপাত্র। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৪ ]

    لَّا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا كِذَّابًا
    তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৫ ]

    جَزَاء مِّن رَّبِّكَ عَطَاء حِسَابًا
    এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান, [ সূরা নাবা ৭৮:৩৬ ]

    رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرحْمَنِ لَا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا
    যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৭ ]

    يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلَائِكَةُ صَفًّا لَّا يَتَكَلَّمُونَ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا
    যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৮ ]

    ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَن شَاء اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا
    এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক। [ সূরা নাবা ৭৮:৩৯ ]

    إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا
    আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যেক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। [ সূরা নাবা ৭৮:৪০ ]

    সূরা আন-নাজিআত (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৪৬)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا
    শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১ ]

    وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا
    শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে; [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২ ]

    وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا
    শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩ ]

    فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا
    শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪ ]

    فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا
    শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৫ ]

    يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ
    যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৬ ]

    تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ
    অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী; [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৭ ]

    قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ
    সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৮ ]

    أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ
    তাদের দৃষ্টি নত হবে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৯ ]

    يَقُولُونَ أَئِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ
    তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১০ ]

    أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً
    গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১১ ]

    قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
    তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে! [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১২ ]

    فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ
    অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৩ ]

    فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ
    তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৪ ]

    هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
    মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৫ ]

    إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
    যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৬ ]

    اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
    ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৭ ]

    فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَى أَن تَزَكَّى
    অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৮ ]

    وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى
    আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:১৯ ]

    فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَى
    অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২০ ]

    فَكَذَّبَ وَعَصَى
    কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২১ ]

    ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى
    অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২২ ]

    فَحَشَرَ فَنَادَى
    সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৩ ]

    فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَى
    এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৪ ]

    فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَى
    অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৫ ]

    إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
    যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৬ ]

    أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
    তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৭ ]

    رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
    তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৮ ]

    وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
    তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:২৯ ]

    وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا
    পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩০ ]

    أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءهَا وَمَرْعَاهَا
    তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩১ ]

    وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا
    পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩২ ]

    مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
    তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৩ ]

    فَإِذَا جَاءتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَى
    অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৪ ]

    يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَى
    অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৫ ]

    وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَى
    এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৬ ]

    فَأَمَّا مَن طَغَى
    তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে; [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৭ ]

    وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
    এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৮ ]

    فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَى
    তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৩৯ ]

    وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى
    পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে, [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪০ ]

    فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَى
    তার ঠিকানা হবে জান্নাত। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪১ ]

    يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا
    তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪২ ]

    فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا
    এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ? [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪৩ ]

    إِلَى رَبِّكَ مُنتَهَاهَا
    এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪৪ ]

    إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا
    যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪৫ ]

    كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا
    যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে। [ সূরা নাজিয়াত ৭৯:৪৬ ]

    সূরা আবাসা (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৪২)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    عَبَسَ وَتَوَلَّى
    তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১ ]

    أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
    কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল। [ সূরা আ’বাসা ৮০:২ ]

    وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّى
    আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩ ]

    أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَى
    অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৪ ]

    أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَى
    পরন্তু যে বেপরোয়া, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৫ ]

    فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّى
    আপনি তার চিন্তায় মশগুল। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৬ ]

    وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّى
    সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোনো দোষ নেই। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৭ ]

    وَأَمَّا مَن جَاءكَ يَسْعَى
    যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো [ সূরা আ’বাসা ৮০:৮ ]

    وَهُوَ يَخْشَى
    এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৯ ]

    فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّى
    আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১০ ]

    كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
    কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১১ ]

    فَمَن شَاء ذَكَرَهُ
    অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১২ ]

    فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
    এটা লিখিত আছে সম্মানিত, [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৩ ]

    مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
    উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে, [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৪ ]

    بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
    লিপিকারের হস্তে, [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৫ ]

    كِرَامٍ بَرَرَةٍ
    যারা মহৎ, পূত চরিত্র। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৬ ]

    قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
    মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ! [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৭ ]

    مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
    তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন? [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৮ ]

    مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
    শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন। [ সূরা আ’বাসা ৮০:১৯ ]

    ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
    অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২০ ]

    ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
    অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:২১ ]

    ثُمَّ إِذَا شَاء أَنشَرَهُ
    এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। [ সূরা আ’বাসা ৮০:২২ ]

    كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
    সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি। [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৩ ]

    فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَى طَعَامِهِ
    মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৪ ]

    أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاء صَبًّا
    আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৫ ]

    ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
    এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৬ ]

    فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
    অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৭ ]

    وَعِنَبًا وَقَضْبًا
    আঙ্গুর, শাক-সব্জি, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৮ ]

    وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
    যয়তুন, খর্জূর, [ সূরা আ’বাসা ৮০:২৯ ]

    وَحَدَائِقَ غُلْبًا
    ঘন উদ্যান, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩০ ]

    وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
    ফল এবং ঘাস [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩১ ]

    مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
    তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩২ ]

    فَإِذَا جَاءتِ الصَّاخَّةُ
    অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৩ ]

    يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
    সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৪ ]

    وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
    তার মাতা, তার পিতা, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৫ ]

    وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
    তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৬ ]

    لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
    সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৭ ]

    وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
    অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল, [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৮ ]

    ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
    সহাস্য ও প্রফুল্ল। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৩৯ ]

    وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
    এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৪০ ]

    تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
    তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৪১ ]

    أُوْلَئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
    তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল। [ সূরা আ’বাসা ৮০:৪২ ]

    সূরা আত-তাকভীর (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত:২৯)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
    যখন সূর্য আলোহীন হয়ে যাবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:১ ]

    وَإِذَا النُّجُومُ انكَدَرَتْ
    যখন নক্ষত্র মলিন হয়ে যাবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:২ ]

    وَإِذَا الْجِبَالُ سُيِّرَتْ
    যখন পর্বতমালা অপসারিত হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:৩ ]

    وَإِذَا الْعِشَارُ عُطِّلَتْ
    যখন দশ মাসের গর্ভবতী উষ্ট্রীসমূহ উপেক্ষিত হবে; [ সূরা তাকভীর ৮১:৪ ]

    وَإِذَا الْوُحُوشُ حُشِرَتْ
    যখন বন্য পশুরা একত্রিত হয়ে যাবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:৫ ]

    وَإِذَا الْبِحَارُ سُجِّرَتْ
    যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:৬ ]

    وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
    যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:৭ ]

    وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ
    যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:৮ ]

    بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ
    কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল? [ সূরা তাকভীর ৮১:৯ ]

    وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ
    যখন আমলনামা খোলা হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:১০ ]

    وَإِذَا السَّمَاء كُشِطَتْ
    যখন আকাশের আবরণ অপসারিত হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:১১ ]

    وَإِذَا الْجَحِيمُ سُعِّرَتْ
    যখন জাহান্নামের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হবে [ সূরা তাকভীর ৮১:১২ ]

    وَإِذَا الْجَنَّةُ أُزْلِفَتْ
    এবং যখন জান্নাত সন্নিকটবর্তী হবে, [ সূরা তাকভীর ৮১:১৩ ]

    عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا أَحْضَرَتْ
    তখন প্রত্যেকেই জেনে নিবে সে কি উপস্থিত করেছে। [ সূরা তাকভীর ৮১:১৪ ]

    فَلَا أُقْسِمُ بِالْخُنَّسِ
    আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়। [ সূরা তাকভীর ৮১:১৫ ]

    الْجَوَارِ الْكُنَّسِ
    চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়, [ সূরা তাকভীর ৮১:১৬ ]

    وَاللَّيْلِ إِذَا عَسْعَسَ
    শপথ নিশাবসান ও [ সূরা তাকভীর ৮১:১৭ ]

    وَالصُّبْحِ إِذَا تَنَفَّسَ
    প্রভাত আগমন কালের, [ সূরা তাকভীর ৮১:১৮ ]

    إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ
    নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী, [ সূরা তাকভীর ৮১:১৯ ]

    ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ
    যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী, [ সূরা তাকভীর ৮১:২০ ]

    مُطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ
    সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন। [ সূরা তাকভীর ৮১:২১ ]

    وَمَا صَاحِبُكُم بِمَجْنُونٍ
    এবং তোমাদের সাথী পাগল নন। [ সূরা তাকভীর ৮১:২২ ]

    وَلَقَدْ رَآهُ بِالْأُفُقِ الْمُبِينِ
    তিনি সেই ফেরেশতাকে প্রকাশ্য দিগন্তে দেখেছেন। [ সূরা তাকভীর ৮১:২৩ ]

    وَمَا هُوَ عَلَى الْغَيْبِ بِضَنِينٍ
    তিনি অদৃশ্য বিষয় বলতে কৃপনতা করেন না। [ সূরা তাকভীর ৮১:২৪ ]

    وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ
    এটা বিতাড়িত শয়তানের উক্তি নয়। [ সূরা তাকভীর ৮১:২৫ ]

    فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ
    অতএব, তোমরা কোথায় যাচ্ছ? [ সূরা তাকভীর ৮১:২৬ ]

    إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِينَ
    এটা তো কেবল বিশ্বাবাসীদের জন্যে উপদেশ, [ সূরা তাকভীর ৮১:২৭ ]

    لِمَن شَاء مِنكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ
    তার জন্যে, যে তোমাদের মধ্যে সোজা চলতে চায়। [ সূরা তাকভীর ৮১:২৮ ]

    وَمَا تَشَاؤُونَ إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
    তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না। [ সূরা তাকভীর ৮১:২৯ ]

    সূরা আল ইনফিতার (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত:১৯)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِذَا السَّمَاء انفَطَرَتْ
    যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, [ সূরা ইনফিতার ৮২:১ ]

    وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ
    যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে, [ সূরা ইনফিতার ৮২:২ ]

    وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ
    যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে, [ সূরা ইনফিতার ৮২:৩ ]

    وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ
    এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে, [ সূরা ইনফিতার ৮২:৪ ]

    عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
    তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে। [ সূরা ইনফিতার ৮২:৫ ]

    يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
    হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল? [ সূরা ইনফিতার ৮২:৬ ]

    الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
    যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন। [ সূরা ইনফিতার ৮২:৭ ]

    فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاء رَكَّبَكَ
    যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন। [ সূরা ইনফিতার ৮২:৮ ]

    كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ
    কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদা নকে মিথ্যা মনে কর। [ সূরা ইনফিতার ৮২:৯ ]

    وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ
    অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১০ ]

    كِرَامًا كَاتِبِينَ
    সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১১ ]

    يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
    তারা জানে যা তোমরা কর। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১২ ]

    إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
    সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৩ ]

    وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ
    এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে; [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৪ ]

    يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ
    তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৫ ]

    وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ
    তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৬ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
    আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৭ ]

    ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ
    অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি? [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৮ ]

    يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ
    যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর। [ সূরা ইনফিতার ৮২:১৯ ]

    সূরা মুতাফফিফিন (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৩৬)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ
    যারা মাপে কম করে, তাদের জন্যে দুর্ভোগ, [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১ ]

    الَّذِينَ إِذَا اكْتَالُواْ عَلَى النَّاسِ يَسْتَوْفُونَ
    যারা লোকের কাছ থেকে যখন মেপে নেয়, তখন পূর্ণ মাত্রায় নেয় [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২ ]

    وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ
    এবং যখন লোকদেরকে মেপে দেয় কিংবা ওজন করে দেয়, তখন কম করে দেয়। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩ ]

    أَلَا يَظُنُّ أُولَئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ
    তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৪ ]

    لِيَوْمٍ عَظِيمٍ
    সেই মহাদিবসে, [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৫ ]

    يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ
    যেদিন মানুষ দাঁড়াবে বিশ্ব পালনকর্তার সামনে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৬ ]

    كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الفُجَّارِ لَفِي سِجِّينٍ
    এটা কিছুতেই উচিত নয়, নিশ্চয় পাপাচারীদের আমলনামা সিজ্জীনে আছে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৭ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا سِجِّينٌ
    আপনি জানেন, সিজ্জীন কি? [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৮ ]

    كِتَابٌ مَّرْقُومٌ
    এটা লিপিবদ্ধ খাতা। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৯ ]

    وَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ
    সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের, [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১০ ]

    الَّذِينَ يُكَذِّبُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ
    যারা প্রতিফল দিবসকে মিথ্যারোপ করে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১১ ]

    وَمَا يُكَذِّبُ بِهِ إِلَّا كُلُّ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ
    প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১২ ]

    إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
    তার কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হলে সে বলে, পুরাকালের উপকথা। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৩ ]

    كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ
    কখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৪ ]

    كَلَّا إِنَّهُمْ عَن رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوبُونَ
    কখনও না, তারা সেদিন তাদের পালনকর্তার থেকে পর্দার অন্তরালে থাকবে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৫ ]

    ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُوا الْجَحِيمِ
    অতঃপর তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৬ ]

    ثُمَّ يُقَالُ هَذَا الَّذِي كُنتُم بِهِ تُكَذِّبُونَ
    এরপর বলা হবে, একেই তো তোমরা মিথ্যারোপ করতে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৭ ]

    كَلَّا إِنَّ كِتَابَ الْأَبْرَارِ لَفِي عِلِّيِّينَ
    কখনও না, নিশ্চয় সৎলোকদের আমলনামা আছে ইল্লিয়্যীনে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৮ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا عِلِّيُّونَ
    আপনি জানেন ইল্লিয়্যীন কি? [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৯ ]

    كِتَابٌ مَّرْقُومٌ
    এটা লিপিবদ্ধ খাতা। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২০ ]

    يَشْهَدُهُ الْمُقَرَّبُونَ
    আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতাগণ একে প্রত্যক্ষ করে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২১ ]

    إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ
    নিশ্চয় সৎলোকগণ থাকবে পরম আরামে, [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২২ ]

    عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ
    সিংহাসনে বসে অবলোকন করবে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৩ ]

    تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ
    আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৪ ]

    يُسْقَوْنَ مِن رَّحِيقٍ مَّخْتُومٍ
    তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৫ ]

    خِتَامُهُ مِسْكٌ وَفِي ذَلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ
    তার মোহর হবে কস্তুরী। এ বিষয়ে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৬ ]

    وَمِزَاجُهُ مِن تَسْنِيمٍ
    তার মিশ্রণ হবে তসনীমের পানি। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৭ ]

    عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُونَ
    এটা একটা ঝরণা, যার পানি পান করবে নৈকট্যশীলগণ। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৮ ]

    إِنَّ الَّذِينَ أَجْرَمُوا كَانُواْ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا يَضْحَكُونَ
    যারা অপরাধী, তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:২৯ ]

    وَإِذَا مَرُّواْ بِهِمْ يَتَغَامَزُونَ
    এবং তারা যখন তাদের কাছ দিয়ে গমন করত তখন পরস্পরে চোখ টিপে ইশারা করত। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩০ ]

    وَإِذَا انقَلَبُواْ إِلَى أَهْلِهِمُ انقَلَبُواْ فَكِهِينَ
    তারা যখন তাদের পরিবার-পরিজ নের কাছে ফিরত, তখনও হাসাহাসি করে ফিরত। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩১ ]

    وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوا إِنَّ هَؤُلَاء لَضَالُّونَ
    আর যখন তারা বিশ্বাসীদেরকে দেখত, তখন বলত, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩২ ]

    وَمَا أُرْسِلُوا عَلَيْهِمْ حَافِظِينَ
    অথচ তারা বিশ্বাসীদের তত্ত্বাবধায়করূপে প্রেরিত হয়নি। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩৩ ]

    فَالْيَوْمَ الَّذِينَ آمَنُواْ مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ
    আজ যারা বিশ্বাসী, তারা কাফেরদেরকে উপহাস করছে। [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩৪ ]

    عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ
    সিংহাসনে বসে, তাদেরকে অবলোকন করছে, [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩৫ ]

    هَلْ ثُوِّبَ الْكُفَّارُ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ
    কাফেররা যা করত, তার প্রতিফল পেয়েছে তো? [ সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৩৬ ]

    সূরা আল ইনশিক্বাক্ব (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ২৫)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِذَا السَّمَاء انشَقَّتْ
    যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১ ]

    وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
    ও তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং আকাশ এরই উপযুক্ত [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২ ]

    وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ
    এবং যখন পৃথিবীকে সম্প্রসারিত করা হবে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৩ ]

    وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ
    এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৪ ]

    وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ
    এবং তার পালনকর্তার আদেশ পালন করবে এবং পৃথিবী এরই উপযুক্ত। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৫ ]

    يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَاقِيهِ
    হে মানুষ, তোমাকে তোমরা পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৬ ]

    فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ
    যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৭ ]

    فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا
    তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৮ ]

    وَيَنقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا
    এবং সে তার পরিবার-পরিজ নের কাছে হৃষ্টচিত্তে ফিরে যাবে [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:৯ ]

    وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاء ظَهْرِهِ
    এবং যাকে তার আমলনামা পিঠের পশ্চাদ্দিক থেকে দেয়া, হবে, [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১০ ]

    فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا
    সে মৃত্যুকে আহবান করবে, [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১১ ]

    وَيَصْلَى سَعِيرًا
    এবং জাহান্নামে প্রবেশ করবে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১২ ]

    إِنَّهُ كَانَ فِي أَهْلِهِ مَسْرُورًا
    সে তার পরিবার-পরিজ নের মধ্যে আনন্দিত ছিল। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৩ ]

    إِنَّهُ ظَنَّ أَن لَّن يَحُورَ
    সে মনে করত যে, সে কখনও ফিরে যাবে না। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৪ ]

    بَلَى إِنَّ رَبَّهُ كَانَ بِهِ بَصِيرًا
    কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৫ ]

    فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ
    আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৬ ]

    وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ
    এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৭ ]

    وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ
    এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে, [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৮ ]

    لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ
    নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:১৯ ]

    فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
    অতএব, তাদের কি হল যে, তারা ঈমান আনে না? [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২০ ]

    وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنُ لَا يَسْجُدُونَ
    যখন তাদের কাছে কোরআন পাঠ করা হয়, তখন সেজদা করে না। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২১ ]

    بَلِ الَّذِينَ كَفَرُواْ يُكَذِّبُونَ
    বরং কাফেররা এর প্রতি মিথ্যারোপ করে। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২২ ]

    وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُوعُونَ
    তারা যা সংরক্ষণ করে, আল্লাহ তা জানেন। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২৩ ]

    فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
    অতএব, তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২৪ ]

    إِلَّا الَّذِينَ آمَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّالِحَاتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
    কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। [ সূরা ইনশিকাক ৮৪:২৫ ]

    সূরা আল বুরূজ (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ২২)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالسَّمَاء ذَاتِ الْبُرُوجِ
    শপথ গ্রহ-নক্ষত্রের শোভিত আকাশের, [ সূরা বুরূজ ৮৫:১ ]

    وَالْيَوْمِ الْمَوْعُودِ
    এবং প্রতিশ্রুত দিবসের, [ সূরা বুরূজ ৮৫:২ ]

    وَشَاهِدٍ وَمَشْهُودٍ
    এবং সেই দিবসের, যে উপস্থিত হয় ও যাতে উপস্থিত হয় [ সূরা বুরূজ ৮৫:৩ ]

    قُتِلَ أَصْحَابُ الْأُخْدُودِ
    অভিশপ্ত হয়েছে গর্ত ওয়ালারা অর্থাৎ, [ সূরা বুরূজ ৮৫:৪ ]

    النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ
    অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা; [ সূরা বুরূজ ৮৫:৫ ]

    إِذْ هُمْ عَلَيْهَا قُعُودٌ
    যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল। [ সূরা বুরূজ ৮৫:৬ ]

    وَهُمْ عَلَى مَا يَفْعَلُونَ بِالْمُؤْمِنِينَ شُهُودٌ
    এবং তারা বিশ্বাসীদের সাথে যা করেছিল, তা নিরীক্ষণ করছিল। [ সূরা বুরূজ ৮৫:৭ ]

    وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَن يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ
    তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, [ সূরা বুরূজ ৮৫:৮ ]

    الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
    যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের ক্ষমতার মালিক, আল্লাহর সামনে রয়েছে সবকিছু। [ সূরা বুরূজ ৮৫:৯ ]

    إِنَّ الَّذِينَ فَتَنُوا الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوبُوا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيقِ
    যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে নিপীড়ন করেছে, অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্যে আছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন যন্ত্রণা, [ সূরা বুরূজ ৮৫:১০ ]

    إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْكَبِيرُ
    যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১১ ]

    إِنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيدٌ
    নিশ্চয় তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১২ ]

    إِنَّهُ هُوَ يُبْدِئُ وَيُعِيدُ
    তিনিই প্রথমবার অস্তিত্ব দান করেন এবং পুনরায় জীবিত করেন। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৩ ]

    وَهُوَ الْغَفُورُ الْوَدُودُ
    তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়; [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৪ ]

    ذُو الْعَرْشِ الْمَجِيدُ
    মহান আরশের অধিকারী। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৫ ]

    فَعَّالٌ لِّمَا يُرِيدُ
    তিনি যা চান, তাই করেন। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৬ ]

    هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْجُنُودِ
    আপনার কাছে সৈন্যবাহিনীর ইতিবৃত্ত পৌছেছে কি? [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৭ ]

    فِرْعَوْنَ وَثَمُودَ
    ফেরাউনের এবং সামুদের? [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৮ ]

    بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي تَكْذِيبٍ
    বরং যারা কাফের, তারা মিথ্যারোপে রত আছে। [ সূরা বুরূজ ৮৫:১৯ ]

    وَاللَّهُ مِن وَرَائِهِم مُّحِيطٌ
    আল্লাহ তাদেরকে চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন। [ সূরা বুরূজ ৮৫:২০ ]

    بَلْ هُوَ قُرْآنٌ مَّجِيدٌ
    বরং এটা মহান কোরআন, [ সূরা বুরূজ ৮৫:২১ ]

    فِي لَوْحٍ مَّحْفُوظٍ
    লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ। [ সূরা বুরূজ ৮৫:২২ ]

    সূরা আত্ব-তারিক্ব (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত:১৭)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالسَّمَاء وَالطَّارِقِ
    শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর। [ সূরা তারিক ৮৬:১ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ
    আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি? [ সূরা তারিক ৮৬:২ ]

    النَّجْمُ الثَّاقِبُ
    সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। [ সূরা তারিক ৮৬:৩ ]

    إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ
    প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে। [ সূরা তারিক ৮৬:৪ ]

    فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ
    অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। [ সূরা তারিক ৮৬:৫ ]

    خُلِقَ مِن مَّاء دَافِقٍ
    সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। [ সূরা তারিক ৮৬:৬ ]

    يَخْرُجُ مِن بَيْنِ الصُّلْبِ وَالتَّرَائِبِ
    এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। [ সূরা তারিক ৮৬:৭ ]

    إِنَّهُ عَلَى رَجْعِهِ لَقَادِرٌ
    নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম। [ সূরা তারিক ৮৬:৮ ]

    يَوْمَ تُبْلَى السَّرَائِرُ
    যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে, [ সূরা তারিক ৮৬:৯ ]

    فَمَا لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
    সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না। [ সূরা তারিক ৮৬:১০ ]

    وَالسَّمَاء ذَاتِ الرَّجْعِ
    শপথ চক্রশীল আকাশের [ সূরা তারিক ৮৬:১১ ]

    وَالْأَرْضِ ذَاتِ الصَّدْعِ
    এবং বিদারনশীল পৃথিবীর [ সূরা তারিক ৮৬:১২ ]

    إِنَّهُ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
    নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যা র ফয়সালা। [ সূরা তারিক ৮৬:১৩ ]

    وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ
    এবং এটা উপহাস নয়। [ সূরা তারিক ৮৬:১৪ ]

    إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
    তারা ভীষণ চক্রান্ত করে, [ সূরা তারিক ৮৬:১৫ ]

    وَأَكِيدُ كَيْدًا
    আর আমিও কৌশল করি। [ সূরা তারিক ৮৬:১৬ ]

    فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا
    অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে। [ সূরা তারিক ৮৬:১৭ ]

    সূরা আল আ’লা (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ১৯)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى
    আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন [ সূরা আ’লা ৮৭:১ ]

    الَّذِي خَلَقَ فَسَوَّى
    যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। [ সূরা আ’লা ৮৭:২ ]

    وَالَّذِي قَدَّرَ فَهَدَى
    এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন [ সূরা আ’লা ৮৭:৩ ]

    وَالَّذِي أَخْرَجَ الْمَرْعَى
    এবং যিনি তৃণাদি উৎপন্ন করেছেন, [ সূরা আ’লা ৮৭:৪ ]

    فَجَعَلَهُ غُثَاء أَحْوَى
    অতঃপর করেছেন তাকে কাল আবর্জনা। [ সূরা আ’লা ৮৭:৫ ]

    سَنُقْرِؤُكَ فَلَا تَنسَى
    আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না [ সূরা আ’লা ৮৭:৬ ]

    إِلَّا مَا شَاء اللَّهُ إِنَّهُ يَعْلَمُ الْجَهْرَ وَمَا يَخْفَى
    আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়। [ সূরা আ’লা ৮৭:৭ ]

    وَنُيَسِّرُكَ لِلْيُسْرَى
    আমি আপনার জন্যে সহজ শরীয়ত সহজতর করে দেবো। [ সূরা আ’লা ৮৭:৮ ]

    فَذَكِّرْ إِن نَّفَعَتِ الذِّكْرَى
    উপদেশ ফলপ্রসূ হলে উপদেশ দান করুন, [ সূরা আ’লা ৮৭:৯ ]

    سَيَذَّكَّرُ مَن يَخْشَى
    যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে, [ সূরা আ’লা ৮৭:১০ ]

    وَيَتَجَنَّبُهَا الْأَشْقَى
    আর যে, হতভাগা, সে তা উপেক্ষা করবে, [ সূরা আ’লা ৮৭:১১ ]

    الَّذِي يَصْلَى النَّارَ الْكُبْرَى
    সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে। [ সূরা আ’লা ৮৭:১২ ]

    ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَى
    অতঃপর সেখানে সে মরবেও না, জীবিতও থাকবে না। [ সূরা আ’লা ৮৭:১৩ ]

    قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّى
    নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় [ সূরা আ’লা ৮৭:১৪ ]

    وَذَكَرَ اسْمَ رَبِّهِ فَصَلَّى
    এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে। [ সূরা আ’লা ৮৭:১৫ ]

    بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا
    বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, [ সূরা আ’লা ৮৭:১৬ ]

    وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَى
    অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী। [ সূরা আ’লা ৮৭:১৭ ]

    إِنَّ هَذَا لَفِي الصُّحُفِ الْأُولَى
    এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে; [ সূরা আ’লা ৮৭:১৮ ]

    صُحُفِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى
    ইব্রাহীম ও মূসার কিতাবসমূহে। [ সূরা আ’লা ৮৭:১৯ ]

    সূরা আল গাশিয়াহ  (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ২৬)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ
    আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি? [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১ ]

    وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ خَاشِعَةٌ
    অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে লাঞ্ছিত, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২ ]

    عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ
    ক্লিষ্ট, ক্লান্ত। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৩ ]

    تَصْلَى نَارًا حَامِيَةً
    তারা জ্বলন্ত আগুনে পতিত হবে। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৪ ]

    تُسْقَى مِنْ عَيْنٍ آنِيَةٍ
    তাদেরকে ফুটন্ত নহর থেকে পান করানো হবে। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৫ ]

    لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ
    কন্টকপূর্ণ ঝাড় ব্যতীত তাদের জন্যে কোন খাদ্য নেই। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৬ ]

    لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ
    এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৭ ]

    وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
    অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে, সজীব, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৮ ]

    لِسَعْيِهَا رَاضِيَةٌ
    তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:৯ ]

    فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ
    তারা থাকবে, সুউচ্চ জান্নাতে। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১০ ]

    لَّا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً
    তথায় শুনবে না কোন অসার কথাবার্তা। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১১ ]

    فِيهَا عَيْنٌ جَارِيَةٌ
    তথায় থাকবে প্রবাহিত ঝরণা। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১২ ]

    فِيهَا سُرُرٌ مَّرْفُوعَةٌ
    তথায় থাকবে উন্নত সুসজ্জিত আসন। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৩ ]

    وَأَكْوَابٌ مَّوْضُوعَةٌ
    এবং সংরক্ষিত পানপাত্র [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৪ ]

    وَنَمَارِقُ مَصْفُوفَةٌ
    এবং সারি সারি গালিচা [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৫ ]

    وَزَرَابِيُّ مَبْثُوثَةٌ
    এবং বিস্তৃত বিছানো কার্পেট। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৬ ]

    أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ
    তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৭ ]

    وَإِلَى السَّمَاء كَيْفَ رُفِعَتْ
    এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে? [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৮ ]

    وَإِلَى الْجِبَالِ كَيْفَ نُصِبَتْ
    এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে? [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:১৯ ]

    وَإِلَى الْأَرْضِ كَيْفَ سُطِحَتْ
    এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে? [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২০ ]

    فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
    অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২১ ]

    لَّسْتَ عَلَيْهِم بِمُصَيْطِرٍ
    আপনি তাদের শাসক নন, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২২ ]

    إِلَّا مَن تَوَلَّى وَكَفَرَ
    কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২৩ ]

    فَيُعَذِّبُهُ اللَّهُ الْعَذَابَ الْأَكْبَرَ
    আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২৪ ]

    إِنَّ إِلَيْنَا إِيَابَهُمْ
    নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট, [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২৫ ]

    ثُمَّ إِنَّ عَلَيْنَا حِسَابَهُمْ
    অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব। [ সূরা গাশিয়াহ ৮৮:২৬ ]

    সূরা আল ফজর (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৩০)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالْفَجْرِ
    শপথ ফজরের, [ সূরা ফা’জর ৮৯:১ ]

    وَلَيَالٍ عَشْرٍ
    শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার, [ সূরা ফা’জর ৮৯:২ ]

    وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ
    যা জোড় ও যা বিজোড় [ সূরা ফা’জর ৮৯:৩ ]

    وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
    এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে [ সূরা ফা’জর ৮৯:৪ ]

    هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ
    এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। [ সূরা ফা’জর ৮৯:৫ ]

    أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
    আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন, [ সূরা ফা’জর ৮৯:৬ ]

    إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
    যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং [ সূরা ফা’জর ৮৯:৭ ]

    الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
    যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি [ সূরা ফা’জর ৮৯:৮ ]

    وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
    এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল। [ সূরা ফা’জর ৮৯:৯ ]

    وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ
    এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে [ সূরা ফা’জর ৮৯:১০ ]

    الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ
    যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১১ ]

    فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ
    অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১২ ]


    فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
    অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৩ ]

    إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ
    নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৪ ]

    فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ
    মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৫ ]

    وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ
    এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৬ ]

    كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ
    এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৭ ]

    وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
    এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৮ ]

    وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
    এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল [ সূরা ফা’জর ৮৯:১৯ ]

    وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا
    এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস। [ সূরা ফা’জর ৮৯:২০ ]

    كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
    এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর ্ণ হবে [ সূরা ফা’জর ৮৯:২১ ]

    وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
    এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, [ সূরা ফা’জর ৮৯:২২ ]

    وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى
    এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৩ ]

    يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
    সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৪ ]

    فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ
    সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৫ ]

    وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
    এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৬ ]

    يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
    হে প্রশান্ত মন, [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৭ ]

    ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
    তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৮ ]

    فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
    অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। [ সূরা ফা’জর ৮৯:২৯ ]

    وَادْخُلِي جَنَّتِي
    এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। [ সূরা ফা’জর ৮৯:৩০ ]

    সূরা আল বালাদ (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ২০)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    لَا أُقْسِمُ بِهَذَا الْبَلَدِ
    আমি এই নগরীর শপথ করি [ সূরা বা’লাদ ৯০:১ ]

    وَأَنتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ
    এবং এই নগরীতে আপনার উপর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। [ সূরা বা’লাদ ৯০:২ ]

    وَوَالِدٍ وَمَا وَلَدَ
    শপথ জনকের ও যা জন্ম দেয়। [ সূরা বা’লাদ ৯০:৩ ]

    لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي كَبَدٍ
    নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। [ সূরা বা’লাদ ৯০:৪ ]

    أَيَحْسَبُ أَن لَّن يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ
    সে কি মনে করে যে, তার উপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না ? [ সূরা বা’লাদ ৯০:৫ ]

    يَقُولُ أَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا
    সে বলেঃ আমি প্রচুর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছি। [ সূরা বা’লাদ ৯০:৬ ]

    أَيَحْسَبُ أَن لَّمْ يَرَهُ أَحَدٌ
    সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি? [ সূরা বা’লাদ ৯০:৭ ]

    أَلَمْ نَجْعَل لَّهُ عَيْنَيْنِ
    আমি কি তাকে দেইনি চক্ষুদ্বয়, [ সূরা বা’লাদ ৯০:৮ ]

    وَلِسَانًا وَشَفَتَيْنِ
    জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয় ? [ সূরা বা’লাদ ৯০:৯ ]

    وَهَدَيْنَاهُ النَّجْدَيْنِ
    বস্তুতঃ আমি তাকে দু'টি পথ প্রদর্শন করেছি। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১০ ]

    فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ
    অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১১ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ
    আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? [ সূরা বা’লাদ ৯০:১২ ]

    فَكُّ رَقَبَةٍ
    তা হচ্ছে দাসমুক্তি [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৩ ]

    أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ
    অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৪ ]

    يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ
    এতীম আত্বীয়কে [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৫ ]

    أَوْ مِسْكِينًا ذَا مَتْرَبَةٍ
    অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৬ ]

    ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِ
    অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৭ ]

    أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْمَيْمَنَةِ
    তারাই সৌভাগ্যশালী। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৮ ]

    وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا هُمْ أَصْحَابُ الْمَشْأَمَةِ
    আর যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে তারাই হতভাগা। [ সূরা বা’লাদ ৯০:১৯ ]

    عَلَيْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌ
    তারা অগ্নিপরিবেষ্টিত অবস্থায় বন্দী থাকবে। [ সূরা বা’লাদ ৯০:২০ ]

    সূরা আশ-শামস (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ১৫)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا
    শপথ সূর্যের ও তার কিরণের, [ সূরা শামস ৯১:১ ]

    وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا
    শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে, [ সূরা শামস ৯১:২ ]

    وَالنَّهَارِ إِذَا جَلَّاهَا
    শপথ দিবসের যখন সে সূর্যকে প্রখরভাবে প্রকাশ করে, [ সূরা শামস ৯১:৩ ]

    وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَاهَا
    শপথ রাত্রির যখন সে সূর্যকে আচ্ছাদিত করে, [ সূরা শামস ৯১:৪ ]

    وَالسَّمَاء وَمَا بَنَاهَا
    শপথ আকাশের এবং যিনি তা নির্মাণ করেছেন, তাঁর। [ সূরা শামস ৯১:৫ ]
    وَالْأَرْضِ وَمَا طَحَاهَا
    শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন, তাঁর, [ সূরা শামস ৯১:৬ ]

    وَنَفْسٍ وَمَا سَوَّاهَا
    শপথ প্রাণের এবং যিনি তা সুবিন্যস্ত করেছেন, তাঁর, [ সূরা শামস ৯১:৭ ]

    فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا
    অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন, [ সূরা শামস ৯১:৮ ]

    قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
    যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়। [ সূরা শামস ৯১:৯ ]

    وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
    এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। [ সূরা শামস ৯১:১০ ]

    كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا
    সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল। [ সূরা শামস ৯১:১১ ]

    إِذِ انبَعَثَ أَشْقَاهَا
    যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল। [ সূরা শামস ৯১:১২ ]

    فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا
    অতঃপর আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর ব্যাপারে সতর্ক থাক। [ সূরা শামস ৯১:১৩ ]

    فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُم بِذَنبِهِمْ فَسَوَّاهَا
    অতঃপর ওরা তার প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং উষ্ট্রীর পা কর্তন করেছিল। তাদের পাপের কারণে তাদের পালনকর্তা তাদের উপর ধ্বংস নাযিল করে একাকার করে দিলেন। [ সূরা শামস ৯১:১৪ ]

    وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا
    আল্লাহ তা'আলা এই ধ্বংসের কোন বিরূপ পরিণতির আশংকা করেন না। [ সূরা শামস ৯১:১৫ ]

    সূরা আল লায়ল (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ২১)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
    শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে, [ সূরা লাইল ৯২:১ ]

    وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى
    শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয় [ সূরা লাইল ৯২:২ ]

    وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
    এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন, [ সূরা লাইল ৯২:৩ ]

    إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى
    নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের। [ সূরা লাইল ৯২:৪ ]

    فَأَمَّا مَن أَعْطَى وَاتَّقَى
    অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়, [ সূরা লাইল ৯২:৫ ]

    وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى
    এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে, [ সূরা লাইল ৯২:৬ ]

    فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى
    আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [ সূরা লাইল ৯২:৭ ]

    وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى
    আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয় [ সূরা লাইল ৯২:৮ ]

    وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى
    এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, [ সূরা লাইল ৯২:৯ ]

    فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
    আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব। [ সূরা লাইল ৯২:১০ ]

    وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى
    যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না। [ সূরা লাইল ৯২:১১ ]

    إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى
    আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা। [ সূরা লাইল ৯২:১২ ]

    وَإِنَّ لَنَا لَلْآخِرَةَ وَالْأُولَى
    আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের। [ সূরা লাইল ৯২:১৩ ]

    فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى
    অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি। [ সূরা লাইল ৯২:১৪ ]

    لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى
    এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে, [ সূরা লাইল ৯২:১৫ ]

    الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى
    যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। [ সূরা লাইল ৯২:১৬ ]

    وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى
    এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে, [ সূরা লাইল ৯২:১৭ ]

    الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
    যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে। [ সূরা লাইল ৯২:১৮ ]

    وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَى
    এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না। [ সূরা লাইল ৯২:১৯ ]

    إِلَّا ابْتِغَاء وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى
    তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত। [ সূরা লাইল ৯২:২০ ]

    وَلَسَوْفَ يَرْضَى
    সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে। [ সূরা লাইল ৯২:২১ ]

    সূরা আদ্ব-দ্বোহা  (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ১১)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالضُّحَى
    শপথ পূর্বাহ্নের, [ সূরা দুহা ৯৩:১ ]

    وَاللَّيْلِ إِذَا سَجَى
    শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়, [ সূরা দুহা ৯৩:২ ]

    مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلَى
    আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি। [ সূরা দুহা ৯৩:৩ ]

    وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْأُولَى
    আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়। [ সূরা দুহা ৯৩:৪ ]

    وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
    আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন। [ সূরা দুহা ৯৩:৫ ]

    أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَى
    তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। [ সূরা দুহা ৯৩:৬ ]

    وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى
    তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন। [ সূরা দুহা ৯৩:৭ ]

    وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَى
    তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন। [ সূরা দুহা ৯৩:৮ ]

    فَأَمَّا الْيَتِيمَ فَلَا تَقْهَرْ
    সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না; [ সূরা দুহা ৯৩:৯ ]

    وَأَمَّا السَّائِلَ فَلَا تَنْهَرْ
    সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না। [ সূরা দুহা ৯৩:১০ ]

    وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
    এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। [ সূরা দুহা ৯৩:১১ ]

    সূরা আল ইনশিরাহ (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৮)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ 
    আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:১ ]

    وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
    আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা, [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:২ ]

    الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ
    যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৩ ]

    وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
    আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৪ ]

    فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
    নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৫ ]

    إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
    নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৬ ]

    فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ
    অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৭ ]

    وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ
    এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন। [ সূরা আলাম-নাশরাহ ৯৪:৮ ]

    সূরা ত্বীন (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৮)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ
    শপথ আঞ্জীর (ডুমুর) ও যয়তুনের, [ সূরা তীন ৯৫:১ ]

    وَطُورِ سِينِينَ
    এবং সিনাই প্রান্তরস্থ তূর পর্বতের, [ সূরা তীন ৯৫:২ ]

    وَهَذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ
    এবং এই নিরাপদ নগরীর। [ সূরা তীন ৯৫:৩ ]

    لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
    আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। [ সূরা তীন ৯৫:৪ ]

    ثُمَّ رَدَدْنَاهُ أَسْفَلَ سَافِلِينَ
    অতঃপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নীচ থেকে নীচে। [ সূরা তীন ৯৫:৫ ]

    إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَلَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ
    কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার। [ সূরা তীন ৯৫:৬ ]

    فَمَا يُكَذِّبُكَ بَعْدُ بِالدِّينِ
    অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে? [ সূরা তীন ৯৫:৭ ]

    أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ
    আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন? [ সূরা তীন ৯৫:৮ ]

    সূরা আলাক (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ১৯)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
    পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন [ সূরা আলাক ৯৬:১ ]

    خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
    সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। [ সূরা আলাক ৯৬:২ ]

    اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
    পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, [ সূরা আলাক ৯৬:৩ ]

    الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
    যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, [ সূরা আলাক ৯৬:৪ ]

    عَلَّمَ الْإِنسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
    শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না। [ সূরা আলাক ৯৬:৫ ]

    كَلَّا إِنَّ الْإِنسَانَ لَيَطْغَى
    সত্যি সত্যি মানুষ সীমালংঘন করে, [ সূরা আলাক ৯৬:৬ ]

    أَن رَّآهُ اسْتَغْنَى
    এ কারণে যে, সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। [ সূরা আলাক ৯৬:৭ ]

    إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى
    নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার দিকেই প্রত্যাবর্তন হবে। [ সূরা আলাক ৯৬:৮ ]

    أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى
    আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে নিষেধ করে [ সূরা আলাক ৯৬:৯ ]

    عَبْدًا إِذَا صَلَّى
    এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে? [ সূরা আলাক ৯৬:১০ ]

    أَرَأَيْتَ إِن كَانَ عَلَى الْهُدَى
    আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে। [ সূরা আলাক ৯৬:১১ ]

    أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى
    অথবা খোদাভীতি শিক্ষা দেয়। [ সূরা আলাক ৯৬:১২ ]

    أَرَأَيْتَ إِن كَذَّبَ وَتَوَلَّى
    আপনি কি দেখেছেন, যদি সে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। [ সূরা আলাক ৯৬:১৩ ]

    أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى
    সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন? [ সূরা আলাক ৯৬:১৪ ]

    كَلَّا لَئِن لَّمْ يَنتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ
    কখনই নয়, যদি সে বিরত না হয়, তবে আমি মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবই- [ সূরা আলাক ৯৬:১৫ ]

    نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ
    মিথ্যাচারী, পাপীর কেশগুচ্ছ। [ সূরা আলাক ৯৬:১৬ ]

    فَلْيَدْعُ نَادِيَه
    অতএব, সে তার সভাসদদেরকে আহবান করুক। [ সূরা আলাক ৯৬:১৭ ]

    سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ
    আমিও আহবান করব জাহান্নামের প্রহরীদেরকে [ সূরা আলাক ৯৬:১৮ ]

    كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ
    কখনই নয়, আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি সেজদা করুন ও আমার নৈকট্য অর্জন করুন। [ সূরা আলাক ৯৬:১৯ ]

    সূরা কদর (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৫)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
    আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। [ সূরা ক্বদর ৯৭:১ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
    শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন? [ সূরা ক্বদর ৯৭:২ ]

    لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
    শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। [ সূরা ক্বদর ৯৭:৩ ]

    تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
    এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। [ সূরা ক্বদর ৯৭:৪ ]

    سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
    এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। [ সূরা ক্বদর ৯৭:৫ ]

    সূরা বাইয়্যিনাহ (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৮)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ مُنفَكِّينَ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ الْبَيِّنَةُ
    আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা প্রত্যাবর্তন করত না যতক্ষণ না তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসত। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:১ ]

    رَسُولٌ مِّنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفًا مُّطَهَّرَةً
    অর্থাৎ আল্লাহর একজন রসূল, যিনি আবৃত্তি করতেন পবিত্র সহীফা, [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:২ ]

    فِيهَا كُتُبٌ قَيِّمَةٌ
    যাতে আছে, সঠিক বিষয়বস্তু। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৩ ]

    وَمَا تَفَرَّقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءتْهُمُ الْبَيِّنَةُ
    অপর কিতাব প্রাপ্তরা যে বিভ্রান্ত হয়েছে, তা হয়েছে তাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেই। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৪ ]

    وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
    তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৫ ]

    إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ
    আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৬ ]

    إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُوْلَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ
    যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৭ ]

    جَزَاؤُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّهُ
    তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের প্রতিদান চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার তলদেশে নির্ঝরিণী প্রবাহিত। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এটা তার জন্যে, যে তার পালনকর্তাকে ভয় কর। [ সূরা বাইয়্যেনাহ ৯৮:৮ ]

    সূরা যিলযাল  (মদীনায় অবতীর্ণ, আয়াত:৮)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
    যখন পৃথিবী তার কম্পনে প্রকম্পিত হবে, [ সূরা যিলযাল ৯৯:১ ]

    وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا
    যখন সে তার বোঝা বের করে দেবে। [ সূরা যিলযাল ৯৯:২ ]

    وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا
    এবং মানুষ বলবে, এর কি হল ? [ সূরা যিলযাল ৯৯:৩ ]

    يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا
    সেদিন সে তার বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, [ সূরা যিলযাল ৯৯:৪ ]

    بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَى لَهَا
    কারণ, আপনার পালনকর্তা তাকে আদেশ করবেন। [ সূরা যিলযাল ৯৯:৫ ]

    يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ
    সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হয়। [ সূরা যিলযাল ৯৯:৬ ]

    فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ
    অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে [ সূরা যিলযাল ৯৯:৭ ]

    وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
    এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে। [ সূরা যিলযাল ৯৯:৮ ]

    সূরা আদিয়াত  (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত:১১)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالْعَادِيَاتِ ضَبْحًا
    শপথ উর্ধ্বশ্বাসে চলমান অশ্বসমূহের, [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:১ ]

    فَالْمُورِيَاتِ قَدْحًا
    অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিবিচ্ছুরক অশ্বসমূহের [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:২ ]

    فَالْمُغِيرَاتِ صُبْحًا
    অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী অশ্বসমূহের [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৩ ]

    فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا
    ও যারা সে সময়ে ধুলি উৎক্ষিপ্ত করে [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৪ ]

    فَوَسَطْنَ بِهِ جَمْعًا
    অতঃপর যারা শক্রদলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে- [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৫ ]

    إِنَّ الْإِنسَانَ لِرَبِّهِ لَكَنُودٌ
    নিশ্চয় মানুষ তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৬ ]

    وَإِنَّهُ عَلَى ذَلِكَ لَشَهِيدٌ
    এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৭ ]

    وَإِنَّهُ لِحُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
    এবং সে নিশ্চিতই ধন-সম্পদের ভালবাসায় মত্ত। [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৮ ]

    أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِي الْقُبُورِ
    সে কি জানে না, যখন কবরে যা আছে, তা উত্থিত হবে [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:৯ ]

    وَحُصِّلَ مَا فِي الصُّدُورِ
    এবং অন্তরে যা আছে, তা অর্জন করা হবে? [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:১০ ]

    إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌ
    সেদিন তাদের কি হবে, সে সম্পর্কে তাদের পালনকর্তা সবিশেষ জ্ঞাত। [ সূরা আদিয়্যাত ১০০:১১ ]

    সূরা ক্বারিয়া (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ১১)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    الْقَارِعَةُ
    করাঘাতকারী, [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:১ ]

    مَا الْقَارِعَةُ
    করাঘাতকারী কি? [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:২ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ
    করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৩ ]

    يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ
    যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৪ ]

    وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنفُوشِ
    এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত। [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৫ ]

    فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ
    অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৬ ]

    فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
    সে সুখীজীবন যাপন করবে। [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৭ ]

    وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ
    আর যার পাল্লা হালকা হবে, [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৮ ]

    فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ
    তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:৯ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ
    আপনি জানেন তা কি? [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:১০ ]

    نَارٌ حَامِيَةٌ
    প্রজ্জ্বলিত অগ্নি! [ সূরা ক্বারিয়া ১০১:১১ ]

    সূরা তাকাসূর (মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত: ৮)
    بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
    প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে, [ সূরা তাকাসুর ১০২:১ ]

    حَتَّى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
    এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। [ সূরা তাকাসুর ১০২:২ ]

    كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
    এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। [ সূরা তাকাসুর ১০২:৩ ]

    ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
    অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে। [ সূরা তাকাসুর ১০২:৪ ]

    كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
    কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে। [ সূরা তাকাসুর ১০২:৫ ]

    لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
    তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে, [ সূরা তাকাসুর ১০২:৬ ]

    ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِينِ
    অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে, [ সূরা তাকাসুর ১০২:৭ ]

    ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
    এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। [ সূরা তাকাসুর ১০২:৮ ]

    সূরা আসর (আয়াত ১-৩)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَالْعَصْرِ
    কসম যুগের (সময়ের), [ সূরা আসর ১০৩:১ ]

    إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
    নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; [ সূরা আসর ১০৩:২ ]

    إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
    কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। [ সূরা আসর ১০৩:৩ ]

    সূরা হুমাজা (আয়াত ১-৯)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ
    প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, [ সূরা হুমাযা ১০৪:১ ]

    الَّذِي جَمَعَ مَالًا وَعَدَّدَهُ
    যে অর্থ সঞ্চিত করে ও গণনা করে [ সূরা হুমাযা ১০৪:২ ]

    يَحْسَبُ أَنَّ مَالَهُ أَخْلَدَهُ
    সে মনে করে যে, তার অর্থ চিরকাল তার সাথে থাকবে! [ সূরা হুমাযা ১০৪:৩ ]

    كَلَّا لَيُنبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ
    কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। [ সূরা হুমাযা ১০৪:৪ ]

    وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ
    আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? [ সূরা হুমাযা ১০৪:৫ ]

    نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ
    এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি, [ সূরা হুমাযা ১০৪:৬ ]

    الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ
    যা হৃদয় পর্যন্ত পৌছবে। [ সূরা হুমাযা ১০৪:৭ ]

    إِنَّهَا عَلَيْهِم مُّؤْصَدَةٌ
    এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে, [ সূরা হুমাযা ১০৪:৮ ]

    فِي عَمَدٍ مُّمَدَّدَةٍ
    লম্বা লম্বা খুঁটিতে। [ সূরা হুমাযা ১০৪:৯ ]

    সূরা ফিল (আয়াত ১-৫)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
    আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? [ সূরা ফীল ১০৫:১ ]

    أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
    তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? [ সূরা ফীল ১০৫:২ ]

    وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
    তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী, [ সূরা ফীল ১০৫:৩ ]

    تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
    যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। [ সূরা ফীল ১০৫:৪ ]

    فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
    অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন। [ সূরা ফীল ১০৫:৫ ]

    সূরা কোরাইশ (আয়াত ১-৪)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
    কোরাইশের আসক্তির কারণে, [ সূরা কুরাইশ ১০৬:১ ]

    إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ
    আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। [ সূরা কুরাইশ ১০৬:২ ]

    فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
    অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার [ সূরা কুরাইশ ১০৬:৩ ]

    الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
    যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন। [ সূরা কুরাইশ ১০৬:৪ ]

    সূরা মাউন (আয়াত-১-৭)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
    আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? [ সূরা মাউন ১০৭:১ ]

    فَذَلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
    সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয় [ সূরা মাউন ১০৭:২ ]

    وَلَا يَحُضُّ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
    এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না। [ সূরা মাউন ১০৭:৩ ]

    فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ
    অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, [ সূরা মাউন ১০৭:৪ ]

    الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
    যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; [ সূরা মাউন ১০৭:৫ ]

    الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ
    যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে [ সূরা মাউন ১০৭:৬ ]

    وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
    এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না। [ সূরা মাউন ১০৭:৭ ]

    সূরা কাউসার (আয়াত ১-৩)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
    নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। [ সূরা কাউসার ১০৮:১ ]

    فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
    অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। [ সূরা কাউসার ১০৮:২ ]

    إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ
    যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ। [ সূরা কাউসার ১০৮:৩ ]

    সূরা কাফিরুন (আয়াত ১-৬)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
    বলুন, হে কাফেরকূল, [ সূরা কাফিরূন ১০৯:১ ]

    لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
    আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। [ সূরা কাফিরূন ১০৯:২ ]

    وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
    এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি [ সূরা কাফিরূন ১০৯:৩ ]

    وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
    এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। [ সূরা কাফিরূন ১০৯:৪ ]

    وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
    তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। [ সূরা কাফিরূন ১০৯:৫ ]

    لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
    তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। [ সূরা কাফিরূন ১০৯:৬ ]

    সূরা নসর (আয়াত ১-৩)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    إِذَا جَاء نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
    যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় [ সূরা ন’সর ১১০:১ ]

    وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
    এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, [ সূরা ন’সর ১১০:২ ]

    فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
    তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। [ সূরা ন’সর ১১০:৩ ]

    সূরা লাহাব (আয়াত ১-৫)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
    আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, [ সূরা লাহাব ১১১:১ ]

    مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
    কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। [ সূরা লাহাব ১১১:২ ]

    سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
    সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে [ সূরা লাহাব ১১১:৩ ]

    وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
    এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, [ সূরা লাহাব ১১১:৪ ]

    فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
    তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। [ সূরা লাহাব ১১১:৫ ]

    সূরা ইখলাস (আয়াত ১-৪)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
    বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, [ সূরা ইখলাস ১১২:১ ]

    اللَّهُ الصَّمَدُ
    আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, [ সূরা ইখলাস ১১২:২ ]

    لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
    তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি [ সূরা ইখলাস ১১২:৩ ]

    وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
    এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [ সূরা ইখলাস ১১২:৪ ]

    সূরা ফালাক (আয়াত ১-৫)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
    বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, [ সূরা ফালাক ১১৩:১ ]

    مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
    তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, [ সূরা ফালাক ১১৩:২ ]

    وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
    অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, [ সূরা ফালাক ১১৩:৩ ]

    وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
    গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে [ সূরা ফালাক ১১৩:৪ ]

    وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
    এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে। [ সূরা ফালাক ১১৩:৫ ]

    সূরা নাস (আয়াত ১-৬)
    بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

    قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
    বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার, [ সূরা নাস ১১৪:১ ]

    مَلِكِ النَّاسِ
    মানুষের অধিপতির, [ সূরা নাস ১১৪:২ ]

    إِلَهِ النَّاسِ
    মানুষের মা'বুদের [ সূরা নাস ১১৪:৩ ]

    مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
    তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে, [ সূরা নাস ১১৪:৪ ]

    الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
    যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে [ সূরা নাস ১১৪:৫ ]

    مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
    জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে। [ সূরা নাস ১১৪:৬ ]


    এসএম
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ