ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • আপনাদের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানোই আমার রাজনীতির উদ্দেশ্য: হেলাল স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা— আপিল বিভাগের রায় ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট অধ্যাদেশ: আইন উপদেষ্টা ভারত থেকে শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরাতে হেগের আদালতে যাবে সরকার গৌরনদীতে যাত্রীসহ খাদে বাস, আহত ১৩ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার : প্রধান উপদেষ্টা ২১০০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে সাড়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস দুদকের মামলায় ইসলামি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নিশ্চয়তা চায় দলগুলো, বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি
  • কচুর লতি বিক্রি করেন বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক  

    কচুর লতি বিক্রি করেন বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক  
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    নিজের জমিতে চাষ করা ১৬ কেজি কচুর লতি নিয়ে হাটে বসে বিক্রি করছিলেন বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।   

    ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে  লতি বিক্রি করতে দেখা যায় ডক্টরেট ডিগ্রিধারী আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সকে। বিষয়টি দেখে অনেকে আশ্চর্য হয়েছেন। কেউ ছবিও তুলেছেন।

    সেই ছবির কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়ে গেছে। বিষয়টি অনেকেই নেতিবাচক কথা বলেছেন, অনেকেই এটিকে অভিনয় হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। এর উত্তর নিজেই দিয়েছেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে রবিবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

    ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বলেন, কেউ কেউ বিভিন্ন কমেন্টে উল্লেখ করেছে, লতি বেচা নাকি আমার অভিনয় ছিল। কথাটা ঠিক, কারণ অভিনয় করে লতি বেইচা আমার রাইতে খামারের ১৫০০ টাকার বাজার করে নিয়ে যাইতে হইছে ৭/৮ জন কামলার খাবার যোগানের জন্য। যেমনটা একজন অভিনয় শিল্পী অভিনয় করে সংসার চালান।   ২০ শতাংশ জমিতে আমার ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট হইছে, চেহারা দেইখা মানুষ ফাও দেয়না।  

    তিনি বলেন, প্রয়োজন আপনাকে বাধ্য করে বাহিরে নামার। আজেবাজে কথা বইলা লাভ নাই। ভবিষ্যতে বেঁচে থাকতে গেলে আধুনিক কৃষির বিকল্প নাই।

    এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকার উত্তরার রাস্তায় ড্রাগন বিক্রি করতে দেখা যায় ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সকে। তখন অবশ্য এমন ভাইরাল হননি তিনি। তখনও পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। সেটি শেয়ার করেই প্রিন্স আজ পোস্ট দিলেন।  

    ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর হন প্রিন্স। তারপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন ২০০৬ সালে। আরো পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হরিপদ ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট হন।   

    তিনি ২০১৪ সালে শখের বশে নিজের গ্রামে ফলের বাগান করেন। গড়ে তোলেন কিষান সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ। এরপর দেশ-বিদেশ থেকে উন্নত ফলগাছের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে বাগানে লাগাতে থাকেন।

     ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সে বলেন, বর্তমানে আমার কৃষি খামারে ১১ জন স্থায়ী শ্রমিক কাজ করছেন। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই প্রয়োজন মতো শ্রমিক কাজ করেন আমার খামারে।

    বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে ছয় মাস ছুটি নিয়ে তিনি খামারে কাজ করছেন জানিয়েছে আরও বলেন, আমি কৃষি ভালোবাসি। কৃষি নিয়ে স্বপ্ন দেখি। চাই সবাই কম-বেশি কৃষিকাজে সম্পৃক্ত হোক। কারণ বেঁচে থাকতে হলে সবাইকে কৃষি কাজ করতে হবে।


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ