ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সংস্কারের প্রভাবে বেহাল ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ শান্ত, ফিরলেন সাইফউদ্দিন বরিশালসহ চার বিভাগের অধিকাংশ স্থানে হতে পারে ভারী বৃষ্টি বিএম কলেজে ‘উত্তরণ’ সাংস্কৃতিক সংগঠনের জ্যৈষ্ঠ উৎসব  জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করত মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে করোনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ ‘৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রা*ণ গেল ২ হাজার ৭৭৮ জনের’ দলের কেউ অপরাধ করলেই ব্যবস্থা নেবে বিএনপি: রিজভী বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে করোনা পরীক্ষার ফি পুনর্নির্ধারণ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
  • ‘শ...শ...’ শব্দ করলে শিশুর প্রস্রাবের বেগ আসে কেন?

    ‘শ...শ...’ শব্দ করলে শিশুর প্রস্রাবের বেগ আসে কেন?
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    শিশুদের প্রস্রাবের ক্ষেত্রে সাধারণত ‘শ...শ...’, ‘শ...শ...’ শব্দটি কয়েকবার উচ্চারণ করলেই শিশুরা সুন্দরভাবে প্রস্রাব করে থাকে বা তাদের প্রস্রাবে বেগ আসে। শিশুদের এভাবেই প্রস্রাব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন অভিভাবকরা। আর এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই ব্যবহৃত একটি কার্যকরী কৌশল।

    এটা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ‘শ...শ...’ শব্দটি আসলে কীভাবে শিশুদের প্রস্রাবে সাহায্য করে থাকে?

    বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে কুকুরের ওপর করা রাশিয়ান বিজ্ঞানী ইভান পাভলভের একটি পরীক্ষা থেকে। মাংসের টুকরো খাওয়ার ক্ষেত্রে কুকুরের মুখের ভেতর প্রচুর লালা তৈরি হয়ে থাকে। পালভল তার পরীক্ষায় একটি ঘণ্টার আওয়াজ বাজিয়ে কুকুরকে মাংস খাওয়াতেন। তিনি কয়েকদিন এমনটা করেন, পরবর্তীতে কুকুরটি যখনই ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পেত তখনি মুখ দিয়ে লালা ঝরাতো, এমনকি পাত্রে মাংস না থাকা সত্ত্বেও।

    যার অর্থ দাড়ায় যে, স্নায়ুতন্ত্র অবচেতনভাবে যে সাড়া দিয়ে থাকে, সেটি বাহ্যিক কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমেও হতে পারে।অভিভাবকরা ঠিক একই কাজটি করে থাকের ‘শ...শ...’ শব্দটি উচ্চারণের দ্বারা শিশুদের প্রস্রাব করানোর ক্ষেত্রে। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুর মস্তিষ্ক ওই শব্দ এবং প্রস্রাব এর কর্মের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়। সুতরাং, এই শব্দ বাচ্চাদের স্বায়ত্তশাসনে প্রতিবর্তী ক্রিয়া আরম্ভ করে এবং তাদের প্রস্রাবে সাহায্য করে।

    তবে শব্দের মাধ্যমে প্রস্রাবের এই বিষয়টি শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মানুষের ক্ষেত্রেও বহিরাগত উদ্দীপনার দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করে। উদাহারণস্বরুপ, অন্য কাউকে প্রস্রাব করতে দেখলে অথবা পানি পড়ার শব্দ এবং জলপ্রপাতের শব্দ কানে আসলে কিছু মানুষের প্রস্রাবের ভাব চলে আসে।

    ভিয়েতনামে বাবা-মায়েরা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই প্রস্রাব-পায়খানা করাতে ‘শি..স..স’  অর্থাৎ হুইসেল প্রশিক্ষণ দিতে আরম্ভ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ অভ্যাসের ফলে ভিয়েতনামে শিশুদের ৯ মাস বয়সের পর থেকে সাধারণত ডায়াপারের প্রয়োজন পড়ে না।

    গবেষকদের মতে, শিশুদের এ অভ্যাসে অভ্যস্ত করার নানা সুবিধা রয়েছে। এটি কেবল ডায়াপারের পেছনে টাকা ব্যয় করা কমিয়ে আনে না, পাশাপাশি পিতামাতার জীবনকে সহজ করে তোলে। অল্প বয়স থেকেই শিশুদের এতে প্রশিক্ষিত করা হলে তাদের মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।


    এএজে
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ