ডেঙ্গু রোগীকে খাওয়াতে পারেন যেসব খাবার
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এ সময় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ ডেঙ্গুতে শরীরের প্লাটিলেট কমে যেতে শুরু করে। এছাড়া শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি গ্রহণ আরও বাড়াতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। জ্বর হলে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। এর থেকে হতে পারে পানিশূন্যতা। পাশাপাশি কমে যেতে পারে প্লাটিলেট সংখ্যা। তাই বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই কয়েকটি খাবার খাওয়ানো জরুরি।
ডাবের পানি
শারীরিক সুস্থতায় ডাবের পানি অনেক উপকারী। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে তরল পদার্থের শূন্যতা থেকে সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন। তাই এ সময় বেশি করে ডাবের পানি পান করুন। এতে থাকে ইলেক্ট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
ডালিম
ডালিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এ সময় ডালিম খেলে বাড়বে প্লাটিলেটের সংখ্যা। এই উপকারী ফলটি খেলে ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভূতিও দূর হবে।
কমলা
কমলা বা মালটার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এ দুটি উপাদান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে উপকার করে।
ঘুমের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যে কারণে
হলুদ
রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো হলুদ। যা চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন। হলুদ দুধ খাওয়ার একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।
ব্রোকলি
ব্রোকলি হলো ভিটামিন কে’র একটি ভালো উৎস। অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। যদি কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে অবশ্যই তাকে ব্রোকলি খাওয়াতে হবে।
পালং শাক
পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ওমেগো-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এই শাক। পালং শাক গ্রহণে ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট দ্রুত বাড়বে।
ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন। একই সঙ্গে মসলাযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে।
এছাড়া ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করবেন না। এসব খাবার শরীরের কোনো উপকারেই আসে না বরং ক্লান্তি ও অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এইচকেআর