পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৬ বস্তা টাকা!


কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। মসজিদটিতে মোট আটটি লোহার দানবাক্স (সিন্দুক) রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর সেগুলো খোলা হয়।
শনিবার (২ জুলাই) ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। সেগুলো থেকে রেকর্ড ১৬ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) মো. গোলাম মোস্তফা ১৬ বস্তা টাকা পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, টাকা গণনার কাজে রূপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
গণনা সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবার দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ ৪ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। সেই সঙ্গে সোনা, রূপা ও বিদেশি মুদ্রা মিলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মার্চ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও কিশোরগঞ্জ করপোরেট শাখার প্রধান মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাকা গণনায় অংশ নেন। এছাড়া আরও সহযোগিতা করছেন পাগলা মসজিদের অধীনে মাদরাসার শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে পাগলা মসজিদে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও সোনা-রূপার গহনা দান করেন। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রও মসজিদটিতে দান করা হয়।
মানুষের ধারণা, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এজন্য দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে মানতের টাকা সোনা, রুপার গহনা দান করে থাকেন। মুসলমান ছাড়াও অন্য ধর্মের মানুষও এই মসজিদে দান করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমইউআর
