চরফ্যাসনে ইয়াসের প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাসনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসমূহ। চরফ্যাসনের চর কুকরী-মুকরি, ঢালচর ও চরপাতিলাসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তলিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এসব এলাকায় অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত তিন হাজার মানুষ।
নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল রয়েছে। প্রবল বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও হাজার হাজার একর শস্যের বীজতলা পানিতে ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
পানিবন্দি বেছু, বিপুল, রঞ্জু, মাহামুদ, সেলিম, কামাল, কালু সর্দার ও স্বপন জানান, জোয়ারের পানি ঢুকে পুরো ঘর প্লাবিত হয়েছে। ঘরের লোকজন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো ইউনিয়ন।
এতে ৭/৮শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
চর কুকরী-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানিয়েছেন, দুপুরের হঠাৎ জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাটসহ বেশ কয়েকটি মাছের ঘের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে বুধবার উপকূলে ইয়াসের আঘাত হানার আশংকায় ভোলা জেলার ৪০টি দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে তিন লাখ মানুষকে প্রশাসন নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এমবি
