বরিশাল নগরীতে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীতে এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ আলেকান্দার কাজীপাড়া এলাকার নানার বাসা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। মৃত স্কুলছাত্রীর নাম তামান্না আফরিন (১৫)। সে এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে পড়তো।
তার বাবা নাম রফিকুল ইসলাম টিপু।
বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তামান্না আফরিন (১৫) নামে ওই ছাত্রীর নানা হাফেজ মো. আলমগীরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তামান্না রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে এবং এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে পড়তো।
তবে তামান্নার বাবার দাবি, তার মেয়েকে মারধর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে মা জাকিয়া বেগম বলছেন, তামান্না আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকিয়া বেগমের সঙ্গে প্রায় ৩ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রফিকুল ইসলাম টিপুর। এরপর থেকে তামান্না মায়ের সাথে নানাবাড়ি বসবাস করে আসছিলো। সম্প্রতি তামান্না রাতভর ফোনে কারো সাথে কথা বলতো। আবার কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কিংবা ইউটিউব চালাতো। দিনের বেলায় ঘুমাতো। এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বেলা ১টার দিকে ঘুম থেকে ওঠে সে। পরে বাসার দোতালায় ওঠে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তামান্নার মা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর মেয়ের খোঁজে দোতালায় গিয়ে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে তামান্না। এসময় ডাক চিৎকার দিলে পরিবারের অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাকিয়া বেগম জানান, তামান্না খুব ইমোশনাল ছিলো। রাত জেগে ফেসবুক ও ইউটিউব চালানোর কারণে গত শব-ই বরাতের রাতে রাগ করে তামান্নার হেডফোন ছিঁড়ে ফেলি। পরে আবার মেয়ের আবদারে হেডফোন কিনে দেই।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তাকে কোনো বকাঝকা করা হয়নি, যার জন্য সে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে পারে। কি কারণে তামান্না আত্মহত্যা করেছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে স্কুলছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলাম টিপু বলেন, তামান্নাকে তার নানী ও মামা মিলে মারধর করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এবং পরবর্তীতে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমবি
